ঢাকা, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

পর্যটন

বিচ কার্নিভালের পর্দা নামছে আজ, মঞ্চ মাতাবেন রবি চৌধুরী-চিরকুট

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৩, অক্টোবর ৩, ২০২৩
বিচ কার্নিভালের পর্দা নামছে আজ, মঞ্চ মাতাবেন রবি চৌধুরী-চিরকুট

কক্সবাজার: বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী পর্যটনমেলা ও বিচ কার্নিভালে পর্দা নামছে আজ। তবে উৎসবের শেষ দিনে রয়েছে গ্র্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জাঁকালো আয়োজন।

আয়োজকরা জানিয়েছে, আজ পর্যটনমেলা ও বিচ কার্নিভালের শেষ দিনে মঞ্চ মাতাবে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল চিরকুট ও জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রবি চৌধুরী। এছাড়াও রয়েছে ডিজে শো, আতশবাজি প্রদর্শনী, সেমিনার ও সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ।

‘পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্যে বর্ণিল শোভাযাত্রাসহ উৎসবমুখর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ উৎসব শুরু হয়।

মূলত কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সাতদিনের এ উৎসবের আয়োজন করে। আর এ উৎসব আয়োজনে প্রধান স্পন্সর ছিল দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে মূলত আমাদের এ আয়োজন। আমরা আশা করছি, সাতদিনের মেলায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বিচ ম্যারাথন, বিচ বাইক র‌্যালি, ঘুড়ি উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, সার্কাস, মেঘা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ যে আয়োজনগুলো ছিল সবই পর্যটকদের প্রাণ ছুঁয়েছে।

তিনি বলেন, বিচ কার্নিভালের সময় যারা কক্সবাজারে এসেছে তাদের ভ্রমণ আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি এ আয়োজন অবশ্যই কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সাতদিনের আয়োজনে অংশ নিয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন তাদের মধ্যে কুষ্টিয়া লালন অ্যাকাডেমি, ময়মনসিংহের মহুয়া পালা, কুড়িগ্রামের ভাওয়াইয়া, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দল, চট্টগ্রাম থেকে আঞ্চলিক গানের খ্যাতিমান শিল্পী প্রেম সুন্দর ও সুষ্মিতা, লিজা, ঐশী, তানজির তুহিন প্রমুখ।

তবে কক্সবাজারে এত বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হলেও কক্সবাজারের স্থানীয় শিল্পীদের উপেক্ষিত করা হয়েছে এমন অভিযোগ আসছে শিল্পীদের কাছ থেকে।

জেলা সংগীত শিল্পী পরিষদের সভাপতি বশিরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার আমাদের সম্পদ। এখানকার সব উন্নয়নে শিল্পী সংস্কৃতিকর্মীরা শামিল হতে চায়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের এত বড় আয়োজনে স্থানীয় শিল্পীদের উপেক্ষিত করা হয়েছে।

মূলত কমার্শিয়ালি গান করেন এ রকম শিল্পী ছাড়া স্থানীয় কাউকে এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

মানসী বড়ুয়া, নাসির উদ্দিন বিপু ও মিনা মল্লিকসহ গুটি কয়েক সিনিয়র শিল্পীকে আমন্ত্রণ জানালেও তাদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছে আয়োজকরা।

মেলা শেষ হলে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে তারা সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন বশিরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।