ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটন খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছে জঙ্গিবাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
পর্যটন খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছে জঙ্গিবাদ চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন-ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: জঙ্গিরা দেশের পর্যটন খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ট্রাভেল অ্যান্ড ট্রাভেলেটস ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন সেশন ১- শীর্ষক এ অনুষ্ঠান আয়োজনে ছিল ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ।

রাশেদ খান মেনন এসময় বলেন, যখন দেশি-বিদেশি পর্যটক আসা শুরু করেছে, তখন জঙ্গিরা দেশের পর্যটন খাতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিদের তাণ্ডবের কারণে বিদেশি দূতাবাস বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে বিদেশিরা এখন বাংলাদেশে আসতে সাহস হারিয়ে ফেলছে। যদিও আমাদের দেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে।  

ফিতা কেটে উদ্বোধন করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন-ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদলপর্যটন খাতকে বাঁচাতে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে পর্যটন খাতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। এমন এক সময় ছিল যখন মেয়েরা ঘর থেকে বের হতো না, এখন মেয়েরা ঘর থেকে বের হচ্ছে। তার বড় প্রমাণ আজকের এই সংগঠন (আয়োজক সংগঠন ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ)। মেয়েরা মিলে এই সংগঠনটি করেছে। তারা নারীদের পর্যটনমুখি করছে। এরই মধ্যে তারা আট হাজারের বেশি নারীকে দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরিয়েছে, যা নারী সফলতার ইঙ্গিত বহন করে।

পর্যটনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, পর্যটন কোনো বিনোদন নয়, এটি আমাদের শিল্প। এই শিল্পকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী বলেন, আমরা চাই বিউটিফুল বাংলাদেশ। এজন্য নারীদের ভূমিকা সবসময় বেশি। নারীরা দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করলে সেটা সামাজিকভাবে বাধা থাকে না। এছাড়া আমাদের মেয়েরা এখন অর্থনীতির ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখছে। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও নারীদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন। তিনি চান নারীরা যেন দেশের উন্নয়নে নিজ নিজ স্থান থেকে ভূমিকা রাখে।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃতি ছাড়া পর্যটন সম্ভব নয়। কারণ বিদেশিরা এখন আর অট্টালিকা দেখতে চায় না। তারা দেখতে চায় সবুজ প্রকৃতি যা আমাদের রয়েছে। এজন্য প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমাদের প্রকৃতির প্রতি সদয় হতে হবে। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। আর এটা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।

ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সাকিয়া হক বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বর্তমানে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে পরিশ্রম করছে। সময় এসেছে এখন নারীদের ঘর থেকে বের হওয়ার। আমরা সমাজের বোঝা হতে চাই না। কেননা দেশের উন্নয়নে যখন পুরুষেরা ভূমিকা রাখছে সেখানে নারীরা কেন ঘরে বসে থাকবে? দেশের উন্নয়নে নারীদেরও কাজ করতে হবে। এখন থেকে এটাই হোক সব নারীর মূলমন্ত্র।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-এভারেস্ট জয়ী এমএ মুহিত, বিখ্যাত ফটোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারপার্সন আক্কাস মাহমুদ প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
এসজে/এইচএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।