ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

টানা ছুটিতে পাহাড়-ঝরনার টানে পর্যটকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
টানা ছুটিতে পাহাড়-ঝরনার টানে পর্যটকরা টানা ছুটিতে পাহাড়-ঝরনার টানে পর্যটকরা

বান্দরবান: ক’দিনের টানা ছুটিতে পাহাড়প্রিয় ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমিয়েছেন দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী পাহাড়-ঝরনার শহর বান্দরবানে। বৈশাখের প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে এসেছেন পর্যটকরা।

বৈশাখের শুরুতে তীব্র গরমে ঝরনা, পাহাড় আর মেঘের শহর বান্দরবানে পর্যকটদের আগমন কম থাকলেও গত দুদিনে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় সরব হয়ে উঠেছে।

শুক্র ও শনিবার (২৮ ও ২৯ এপ্রিল) সরকারি ছুটির দিনে বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির, শৈল প্রপাতসহ বিভিন্ন স্পটে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো।

পুরো সপ্তাহজুড়ে সরকারি ছুটি থাকায় পর্যটকে মুখরিত থাকবে বান্দরবান।

নড়াইল থেকে আসা আইনজীবী আখতারুজ্জামান খান জানান, পেশাগত কারণে কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠে না। এবারের টানা ছুটিতে বন্ধুরা মিলে দেশের অন্যতম সুন্দর শহর বান্দরবান ভ্রমণে বের হয়েছি। আমরা বান্দরবান শহরের আশপাশে পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছি। বিকেলে রুমার বগালেক ও কেওক্রাডং পাহাড় ভ্রমণের উদ্দেশে রওনা হবো।

বান্দরবানের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আলীনূর খান বাংলানিউজকে জানান, গত দুদিন ধরে শহরে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ছুটির দিনগুলোতে জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটন স্পট নীলাচল ও মেঘলায় দৈনিক প্রায় ২ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। এছাড়াও অন্যান্য স্পটগুলোতেও প্রচুর দর্শনার্থী লক্ষ্য করা গেছে। শহরে এবং শহরের বাইরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আবাসিক হোটেল থাকায় এখনও পর্যন্ত কোনো আবাসন সংকট দেখা যায়নি।

তিনি জানান, বর্তমানে জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শহরের বাইরে অর্থাৎ রুমা ও থানচি উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো ভ্রমণের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের সকল প্রকার সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান এনডিসি।

এদিকে বান্দরবানের শৈল প্রপাত এলাকার হস্তশিল্প পণ্য ব্যবসায়ী দৌলিয়ান বম জানান, বহুদনি পর পর্যটকদের আগমন দেখে আমরা অত্যন্ত খুশি। বেচা-বিক্রিও আস্তে আস্তে বাড়ছে। গত কয়েকদিন থেকে এখানে অনেক লোকজনের আগমন ঘটছে।

বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গরমে কিছুদিন ধরে পর্যটকদের আগমন কম ছিল। তবে টানা ছুটিতে এখানে প্রচুর পর্যটক আসছেন। শহরের হোটেল মোটেলগুলোতে পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা থাকায় আপাতত কোন আবাসন সংকট চোখে পড়েনি। আগামী ঈদের ছুটিতে পর্যটক আরো বাড়বে।

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল স্বর্ণশিলার পরিচালক মানিক চৌধুরী জানান, গত তিনদিন ধরে হোটেলে কোন রুম খালি নেই। পর্যটকরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারছেন, শহরে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। তাই ভ্রমণকারীরা নিরাপদে পর্যটন স্পটগুলোতে যাতায়াত করতে পারছেন।

পরিবহন শ্রমিক নূরুল ইসলাম জানান, পহেলা বৈশাখের পর থেকে তেমন কোনো পর্যটক না আসায় আমাদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। টানা কদিনের ছুটিতে আস্তে আস্তে পর্যটকের আগমন বেড়েছে বান্দরবানে। আমরাও ভালো আয় করতে পারছি। মেঘলা, নীলাচল, নীলগীরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, স্বর্ণমন্দিরসহ বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো এখন আবার সরব হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।