ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

কমছে ফসলি জমি, বাড়ছে আম বাগান

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৮
 কমছে ফসলি জমি, বাড়ছে আম বাগান কমছে ফসলি জমি, বাড়ছে আম বাগান। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী থেকে: পাট, মরিচ, হলুদ ক্ষেতের পাশেই বিশাল আমের বাগান। আমের ফলন এতো বেশি যে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। এ দৃশ্য রাজশাহীর পুঠিয়ার ভাংড়া গ্রামের। একই অবস্থা পাশের গ্রামেও ।

ভাংড়া গ্রামের আমচাষি আব্দুল্লাহ বলেন, সার, বীজ এবং কীটনাশকে খরচ করে ধান, গম, ভুট্টা চাষে যে পরিমাণ খরচ হয় সে পরিমাণ লাভ হয় না। কিন্তু আম চাষ করে সহজে বেশি লাভবান হওয়া যায়।

যার কারণে ফসলের জমিতে দিন দিন আমবাগান বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ফসল চাষে পরিশ্রম বেশি কিন্তু সেই তুলনায় আম চাষে পরিশ্রম কম। বেশি পরিশ্রম করে যেখানে ফসল চাষ করে উৎপাদন খরচই উঠে না, সেখানে কম পরিশ্রমে আম চাষে লাভবান হওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দিন দিন রাজশাহীতে ফসলি জমিতে আম বাগান বাড়ছে।  কমছে ফসলি জমি, বাড়ছে আম বাগান।  ছবি: বাংলানিউজকয়েকজন আমচাষি বলেন, যে কোনো ফসলের চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভের কারণে ফসলের জমিতে আমের বাগান তৈরি হচ্ছে। আমের বাগান তৈরি করায় কৃষকরা প্রতিবছর অল্প শ্রমেই পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।

তবে ফসলি জমিতে এভাবে আমবাগান করার দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি দেখছেন সচেতন মহল। তাদের আশঙ্কা, জমি কমে গেলে ধান উৎপাদন কমে যাবে। এতে ভবিষ্যতে দেশ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর প্রায় সব এলাকায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠছে বিভিন্ন জাতের আমবাগান। ফসলি জমিকে আমবাগান বানানোর যেন প্রতিযোগিতা চলছে রীতিমত।

ফল গবেষণা কেন্দ্র বিনোদপুর, রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক এলাকার কৃষক ধান কিংবা সবজির ফসলের চেয়ে আম চাষ করে বেশি লাভবান হন। যে কারণে এখন কৃষি জমির ওপর আমবাগান হচ্ছে। যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি বলেন, চাষিরা আমগাছের নিয়মিত পরিচর্যা করেন এবং যত্ন নেন। যার কারণে প্রতি বছরই ভালো ফলন হচ্ছে। রাজশাহীতে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/

..

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।