ঢাকা, শনিবার, ১ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৪ রমজান ১৪৪৬

অন্যান্য

বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল

সামান্তা শারমিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫
বিপ্লব থেকে রাজনৈতিক দল

যে নতুন দেশ আমরা পেয়েছি সেটাকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তৈরি করে যেতে চাই। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নামটা যেনো থাকে জ্বলজ্বলে প্রদীপের মতো সেটাই আমার, আমাদের একমাত্র চাওয়া...

ছাত্রজীবনে আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছি।

অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা এসেছে বারবার। পিছপা হইনি। এরইমধ্যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা ছাত্র-গণপ্রতিরোধের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হন। এতে নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেটাকে পথ দেখাতে সম্পৃক্ত হয়েছি নতুন দলে। দেশ গঠনে আমাদের পথচলা মাত্র শুরু হয়েছে। তাই জানি সামনের পথও মসৃন নয়। এসব মাথায় রেখেই এগিয়ে যেতে চাই। যে নতুন দেশ আমরা পেয়েছি সেটাকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য তৈরি করে যেতে চাই। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নামটা যেনো থাকে জ্বলজ্বলে প্রদীপের মতো সেটাই আমার, আমাদের একমাত্র চাওয়া।

আমার আজকের পথচলার স্পৃহা ছাত্রজীবন থেকেই। জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকায় হওয়ায় অনেক আন্দোলনে নিজেকে সরাসরি সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্ররাজনীতির পথচলা শুরু সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কর্মী হিসেবে। পরবর্তীতে দলীয় রাজনীতি থেকে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যৌথ আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার চেষ্টা করি। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ও ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানার দুটির অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করি। ২০১১-২০১৮ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করি। এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত প্রতিটি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিচারের দাবিতে লড়াই করেছি। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, তনু হত্যা প্রতিবাদে ঢাবির প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলোর প্রধানতম সংগঠক হিসেবে কাজ করি। ২০১৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দোর্দণ্ড প্রতাপের দিনগুলোতে আওয়ামী-ভারতীয় প্রকৃতিবিনাশী আগ্রাসী উন্নয়ননীতির বিরুদ্ধে অব্যাহত আন্দোলন চালিয়ে গেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ২০১৬ সালে চারুকলা অনুষদে তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের আগমনের প্রতিবাদে রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল। প্রাণ প্রকৃতি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক অধিকার আদায়ের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মঞ্চ ‘সর্বপ্রাণ সাংস্কৃতিক শক্তির’ অন্যতম সংগঠক ছিলাম। হল প্রশাসনের অবহেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর মোল্লার মৃত্যু, ছাত্রলীগ কর্তৃক এহসান রফিকের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখ্য অবদান রাখার চেষ্টা করি। ২০১৮ সালে ঢাবিতে ছাত্রলীগের যৌন নিপীড়নের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্মম আক্রমণের শিকার হই। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যতম একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করি। ২০১৭ সালে ঢাবির উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দিন ডাকসু প্রতিনিধিবিহীন উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে সিন্ডিকেট ভবনের গেইটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে আমিসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী আওয়ামীপন্থি শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হই। আওয়ামী লীগের গুম-খুন ও সন্ত্রাসের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে আপোসহীন মনোভাবের কারণে ২০১৪ থেকে ২০১৮- এ সময়কালে ঢাবির গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র নেতৃবৃন্দের একজনে পরিণত হই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন-পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের দিকে কিছুকাল চাকরি করা হয়। । ওই সময়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ কিছুটা কমলেও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা আন্দোলন এবং আবরার ফাহাদ হত্যা প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনগুলোতে নানাভাবে সহযোগিতা করি। এ সময় রাষ্ট্রসংস্কারের তাত্ত্বিক কাঠামো নির্মাণে নিবেদিত চিন্তাসংগঠন ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীনও এদেশের আপামর জনতার সঙ্গে মাঠে ছিলাম। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অনুপ্রেরণায় গঠিত ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করি। পরে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে কোনো কিছুকে স্থান দেওয়া। এবারের আন্দোলনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আমরা বার বার বলছি এটা একটা আধুনিক রাষ্ট্র। কিন্তু এটা কোনোভাবেই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছে কি না? এ জায়গাটা যদি আমরা ফোকাস করি তাহলে দেখব আমাদের যে নাগরিক মর্যাদা সেটা নেই এবং কখনো হওয়ারও ছিল না...

বলা যায়, ছাত্রজীবনের পুরোটাই একটা বিপ্লবী জীবনের মধ্য দিয়ে পার করেছি। এখন একটা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে থাকায় সুযোগ এসেছে এতদিনের আন্দোলনের ফসল হিসেবে দেশকে গড়ার। গতানুগতিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামো ভেঙে সুস্থ রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করার। আমি মনে করি, ১৫ বছরের শাসনের জগদ্দল পাথর থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। তাই এখনই সময় দেশকে বদলানোর। এখনই সময় তরুণদের স্বপ্ন দেখানোর। এখনই সময় রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদাকে সমুন্নত করার।

আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে কোনো কিছুকে স্থান দেওয়া। এবারের আন্দোলনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আমরা বার বার বলছি এটা একটা আধুনিক রাষ্ট্র। কিন্তু এটা কোনোভাবেই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছে কি না? এ জায়গাটা যদি আমরা ফোকাস করি তাহলে দেখব আমাদের যে নাগরিক মর্যাদা সেটা নেই এবং কখনো হওয়ারও ছিল না...অনেক ধরনের জুলুমের মধ্য দিয়ে আমরা এসেছি। জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এসেছি। আমাদের অনেকেরই দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াই আছে। আমাদের অতীত দেখলে দেখা যাবে পুরোটাই ছিল অ্যান্টি ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে উঠে আসা। প্রথমত, এটাকে একটা পরিক্রমা হিসেবে দেখছি। আমার রাজনৈতিক যে সংগ্রাম সেখানে এটাকে একটা দায়িত্ব হিসেবে দেখছি। স্বাভাবিকভাইে একটা পদের সঙ্গে জড়িত কিছু দায়িত্ব থাকে। রাষ্ট্রের দায়িত্বকে এখানে ক্ষমতা হিসেবে দেখা হয়। এই যে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি এটাকে পরিবর্তনের চেষ্টায় আছি। রাষ্ট্রের যে ক্ষমতা সেটাকে দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছি। তাহলে আমাদের যে পোস্ট বা পদবি আছে সেটাকেও ক্ষমতা হিসেবে না দেখে দায়িত্ব হিসেবে দেখতে চাচ্ছি। আমাদের এখন যে রাজনৈতিক কাঠামো আছে সেটাকে বলা হয় যে একদলকেন্দ্রিক। কিন্তু মোটা দাগে সেটা আসলে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এ কাঠামোটা পুরোপুরি জনবিরোধী। জনগণের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। এ কাঠামো আমূল পরিবর্তন করতে হবে। ৩৬ জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের একটা দায় আমাদের ওপর রয়েছে। সেই দায়টাও বোধ করি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বড় ধরনের মেরুকরণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটের বাইরে গিয়ে নাগরিক পার্টি নতুন একটি রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে বিবেচিত। আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সবকিছুর ঊর্ধ্বে কোনো কিছুকে স্থান দেওয়া। এবারের আন্দোলনে আমরা সেটা করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আমরা বার বার বলছি এটা একটা আধুনিক রাষ্ট্র। কিন্তু এটা কোনোভাবেই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছে কি না? এ জায়গাটা যদি আমরা ফোকাস করি তাহলে দেখব আমাদের যে নাগরিক মর্যাদা সেটা নেই এবং কখনো হওয়ারও ছিল না। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ, গ্রহণযোগ্য কোনো কর্মসূচি, পরামর্শ কোনো দলই ওই অর্থে নেয়নি। প্রতিবেশী ভারতের সমস্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ওয়ার্কেবল। তারা পুরো বিশ্বের মানচিত্রে নিজেদের স্টেট হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের যে ভোটিং পাওয়ার অর্থাৎ কোন ইস্যুতে ভারত কী ভূমিকা নিচ্ছে সেটা বড় করে দেখা হয়। এখানে ভারত যে বড় দেশ সে হিসেবে নয় এরকম ছোট অনেক দেশ রয়েছে যাদের ভোটিং পাওয়ার থাকে।

আমাদের চেষ্টা থাকবে  এবার থেকেই যে লক্ষণীয় পরিবর্তনগুলো আনা দরকার সেটা এবারের নির্বাচন থেকেই হবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ তিনটা অবৈধ নির্বাচন দেখেছে, সেই ট্রমা এখনো যায়নি। আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন এদেশের মানুষ সহ্য করতে পারবে না...

বাংলাদেশ এত স্ট্রাগলিং একটা দেশ, বিশেষ করে সাউথ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে দেখতে হবে। কিন্তু পুরো বিশ্বে আমাদের দেশের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। রাজনৈতিকভাবে ও জিও পলিটিক্যালির কোনো গুরুত্ব নেই। পুরো রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করতে হলে ঐক্যবদ্ধতা খুবই জরুরি। আমার জায়গা থেকে এটা অবশ্যই একটা গুরু দায়িত্ব বলে মনে করি। পড়ন্ত প্রায় দুর্বল প্রকৃতির এ রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্য দিয়ে ছাত্ররা নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন। এ অদম্য স্পিরিট শুধু জুলাই অভ্যুত্থান না, তার আগেও দেখা গেছে। বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থায় তাদের মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেয়নি। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমাদের সেই সুযোগটা এসেছে। তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করা, তাদের রাজনৈতিক দিশা দেখানো, তারা যেন রাজনীতিতে আসে, তাদের মতামতগুলো যেন আমরা পাই সেটা নিশ্চিত করা আমাদের টপমোস্ট প্রায়োরিটি। দলগত হিসেবে তাদের গুরুত্ব আমাদের কাছে আরও বেশি। তরুণদের যদি মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে আমরা ব্যর্থ হব। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথম। কঠোর মতাদর্শ মেনে চলার পরিবর্তে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের অংশীদার জনগণকে একত্রিত করা আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রবিন্দুতে তা আছে, এমনকি তাদের ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ থাকলেও। নতুন দল হিসেবে চাই এখানে বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকুক। তাহলে পার্লামেন্টে একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে না। দলগুলোর ভিতরে দক্ষতার বিষয়টি গুরুত্ব পায় না, রাজনৈতিক বিষয়টি গুরুত্ব পায়। আমরা এ জায়গাগুলোতে পরিবর্তনের কথা বলছি। আমাদের এ কথার প্রতিফলন সংসদে গিয়েও পড়বে যদি মানুষ আমাদের বিশ্বাস করে দেখে। পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর বিদ্যমান অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। এটা পরিবর্তন করে তারা মানুষের কাতারে আসুক। প্রান্তিক এলাকায় আমাদের দলটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে। এ কাজের প্রতি বেশি মনোযোগী হব। বাংলাদেশের মানুষের কাছে যে অপশন এসেছে বা সম্ভাবনা এসেছে সেটা যেন সবার কাছে পৌঁছে। আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছি। সংবিধান পরিবর্তন করা প্রয়োজন সেটা আমাদের সবাইকে একনলেজ করতে হবে। যারা এটা করছেন না, তারা অভ্যুত্থানকে একরকম অস্বীকার করছেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়। যদি এবার গণপরিষদ নির্বাচন না হয় তাহলে আমরা এসে সেটা করব। আমাদের চেষ্টা থাকবে এবার থেকেই যে লক্ষণীয় পরিবর্তনগুলো আনা দরকার সেটা এবারের নির্বাচন থেকেই হবে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ তিনটা অবৈধ নির্বাচন দেখেছে, সেই ট্রমা এখনো যায়নি। আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন এদেশের মানুষ সহ্য করতে পারবে না। সামনের যে নির্বাচন হবে সেটা এবসুলেট ফেয়ার হবে সেটা বার বার বলছি। সামনের নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমাদের রাজনীতির সংস্কৃতি নতুন ধারায় এগোবে।  

লেখক: সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিসি)।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।