ঢাকা, শনিবার, ৮ চৈত্র ১৪৩১, ২২ মার্চ ২০২৫, ২১ রমজান ১৪৪৬

মুক্তমত

জাতিসংঘ অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
জাতিসংঘ অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত আনু মুহাম্মদ, সংগৃহীত ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ বলেছেন, জাতিসংঘ সম্পূর্ণ অকার্যকর একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখনো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় চলে জাতিসংঘ।

এ সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার পতন না হলে সারা বিশ্বের কোনো মানুষ, কোনো অঞ্চল নিরাপদ নয়।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশ’ কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ফিলিস্তিন সংহতি কমিটির পক্ষে ডা. হারুন উর রশীদ সমাবেশ থেকে আগামী রবিবার সারা দেশে ফিলিস্তিনে সাম্রাজ্যবাদী ও জায়নবাদী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টনের দিকে অগ্রসর হয়।

আনু মুহাম্মদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য-যদি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর করতে হয়, তাহলে ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই একসঙ্গে যুগপৎভাবে অগ্রসর করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় কয়েক দিন আগে একটা যুদ্ধবিরতির নাটক হয়েছিল। অনেকেই বলছিলেন ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে বাইডেনের সমালোচনা করেছেন এবং বাইডেন যেহেতু সরাসরি এ যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করেছেন, ট্রাম্প এসে এ যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন এবং যুদ্ধ থামবে। ট্রাম্প যেহেতু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলছেন সেহেতু ফিলিস্তিনের পক্ষেও তাঁর একই রকম ভূমিকা থাকবে। কিন্তু কাগজে কলমে যুদ্ধবিরতি আছে। সেটার ওপর ভরসা করে অনেক নারী-শিশু গাজায় ফিরে এসেছিলেন এবং নতুন করে এ ধ্বংসস্তূপে জীবন খোঁজার চেষ্টা করছেন। তখনই ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহু পরিষ্কার আলাপ-আলোচনা করে সম্মতি নিয়ে একটা বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আবার বর্বর হামলা শুরু করেছে।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ট্রাম্প মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আত্মস্বীকৃত সর্বশেষ দুর্বৃত্ত হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। সারা পৃথিবীর সব আইন ভঙ্গ করে, সব সিদ্ধান্ত অমান্য করে এমনকি নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইসরায়েলের ক্ষমতা ছিল না একের পর এক এমন বর্বরতা চালানো। তার পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনের কারণে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কৌশলগত স্বার্থের কারণে। গাজা অঞ্চলে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যুদ্ধ চালাচ্ছে নিজের বসতি তৈরি ও তার মুনাফার সন্ধানে এবং আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।