কোলাজ
মাখনের মতো নরম নিয়ন জ্বলছে-নিভছে;
পৃথিবীর সব মদ জমেছে এখানে!
নিরোগণ বাঁশিতে বিভোর;
নগর পুড়ছে জ্বরে, বিবিধ আগুনে!
ঐশ্বরিয়া হেঁটে গেলো
লক্ লকে জিহ্বার মতো
ক্যাটওয়াক ধরে লেহেঙ্গা ও নগর দুলিয়ে!
ম্যাটাডোর নিপুন কৌশলে
চোখের পলকে কেটে নিলো কান!
ঘোর লাগা চাঁদের রাত্রিতে
ঘোর লাগা চাঁদের রাত্রিতে
হেমাঙ্গিনী সেতু আর থাকেনা নাটোরে।
পালতোলা জাহাজের মতো
আমাদের নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে-
বাতাসের স্রোত কেটে কেটে
রাজশাহী,পুঠিয়া, বগুড়া,
রংপুর, সিলেট, ময়মনসিং, দিনাজপুর…।
ঘোর ঘোর এ রকম চাঁদের রাত্রিতে
হেমাঙ্গিনী সেতু আর থাকেনা মাটিতে;
মাটি মানে শেকড়ের মায়া আর জড়তার মোহ।
এই মোহ প্রেম নয়, ভুল ক’রে অনেকেই ভাবে এ প্রণয়।
হেমাঙ্গিনী দেখেছে অনেক-অনেক শৈশব আর
কৈশোর পড়েছে লাফিয়ে উন্মত্ত
যৌবনের মতো নারদ নদের উথাল-পাতাল জলে;
আজ তারা চলে গুনে গুনে হিসাবি পা ফেলে।
হেমাঙ্গিনী জানে ভ্রমণ সুদীর্ঘ হলে
সতীর্থ- তালিকা খুব সংক্ষিপ্ত হয়,
আর জীবনতো ধনুকের ছুড়ে দেয়া তীর,
লক্ষ্যভেদী হোক বা না হোক ফেরে না কখনো।
ইতিহাস-প্রণয়ে সে তাই বুঁদ হ’য়ে
থাকেনা। এমন চাঁদের রাত্রিতে আমাদের নিয়ে
দীর্ঘ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬
এটি