শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বাউল, কীর্তন, দেহতত্ত্ব, ধামাইল ও ভাটিয়ালি গান পরিবেশনার আয়োজন নিয়ে শিল্পকলার উন্মুক্ত মঞ্চে শুরু হয় রাধারমণ সংগীত উৎসবের দ্বিতীয় দিন। চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
একক সংগীতে বাউলানী শাহানা আক্তার পরিবেশন করেন ‘দুঃখে গেলো কাল গো আমার’ ও ‘সকলে গিয়াছে আমার’, আব্দুল কাহহার গাইলেন ‘রূপে প্রাণ নিলো গো’ ও কাইন্দো না কাইন্দো না’, বিন্দু সূত্রধর গাইলেন ‘আমার বাড়ি যাইও রে’ ও ‘একটা পান চাইলাম’, আমীর আলী গাইলেন ‘দারুণ পীরিতে শেল রইলো’ ও ‘শ্যাম শোকেতে আমারই মরণ’, বায়েজীদ শাহ গাইলেন ‘আমারে আসিবার কথা কইয়া’, ‘জলে যাইও না গো রাই’, নেভী তালুকদার গাইলেন ‘বাঁশী কে বাজায়’ ও ‘ আমারে বন্ধুয়ার মনে নাই’।
এরপর নান্টু দাশ নিবেদন করেন 'শ্যাম বিচ্ছেদে প্রাণ বাঁচে না’ ও ‘ও বাঁশিরে শ্যাম চাঁন্দের বাঁশি’, স্বপ্না দেবনাথ শোনান ‘জলে যাইও না গো রাই’, ও ‘জলে গিয়াছিলাম সই’, মাহবুব আলম গাইলেন ‘ইতা কিতা করে গো বন্ধু’ ও ‘ শ্যাম শোকেতে আমার মরণ’, ধীরেন দাস গাইলেন ‘আমি সহিতে পারি না’ ও ‘জলে আসলাম তোমার লাগিয়া’, শংকর ধর গাইলেন ‘জলে না গেলে না হয়’ ও ‘ ভ্রমর কইও গিয়া’। ‘জলের ঘাটে দেইখা আইলাম’, ‘সুরধ্বনির কিনারায়’ ‘অনাথের নাথ গৌরারে’ সহ মনোমুগ্ধকর দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন বিবিয়ানা মডেল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া’ গানের লোককবি ও সুরকার রাধারমণ দত্তকে স্মরণ করে এবার বসেছে উৎসবটির ৮ম আসর। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি ও রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র। সহযোগিতায় রয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স।
লোককবি রাধারমণ দত্ত রচিত ধামাইল গান সিলেট ও ভারতের বাঙালিদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত। কৃষ্ণ বিরহের আঁকুতি আর না পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। তাইতো তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে গীত হবে রাধারমণের কীর্তন, দেহতত্ত্ব, ধামাইল ও ভাটিয়ালি গান। গাইবেন ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার, নবীগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এএ