ঢাকা: নবীন শিল্পীদের পদচারণায় মুখর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা। ক্যানভাসে যেমন তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর ফুটে উঠেছে, তেমনি স্থাপনাশিল্পে যেন বিপ্লব এনেছেন শিল্পীরা।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্যুয়রয়ালি মাসব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, বরেণ্য শিল্পী শহীদ কবির, একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন। সভাপত্বি করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের বহু মুসলিম দেশে অসংখ্য ভাস্কর্য রয়েছে। একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়া নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অথচ মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়- এটা জেনেও তারা না জানার ভান করছে।
‘কোনো কোনো রাজনৈতিক দল গোপনে মৌলবাদী দলগুলোকে উসকানি দিচ্ছে, দেশের শান্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। তাদের সম্পর্কে সরকার সজাগ রয়েছে। সরকারের সরলতাকে দুর্বলতা ভাবার কারণ নেই। ’
কেএম খালিদ বলেন, এ ধরনের প্রদর্শনী তরুণদের সৃজনশীলতা প্রকাশে সুযোগ সৃষ্টি করবে। এদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে শিল্পীরা তাদের রংতুলির মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে হেফাজতে ইসলাম রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। প্রকৃত অর্থে এই হেফাজতে ইসলাম স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের নেপথ্যের শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও অর্থের চেক তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা হলেন- সেরা চিত্রকলা পুরস্কার শিল্পী তরিকুল ইসলাম, নবীন শিল্পী চারুকলা পুরস্কার ২০২০ সোমা সুরভী জান্নাত, শ্রেষ্ঠ পুরস্কার (চিত্রকলা) মো. তরিকুল ইসলাম, ছাপচিত্রে মো. রফিকুল ইসলাম, ভাস্কর্যে মো. মোজাহিদুল রহমান সরকার, প্রাচ্যকলায় স য় কুমার প্রামাণিক, কারুশিল্পে রুবাইত-ই-শারমিন, মৃৎশিল্পে তানভীর হোসেন রিদম, গ্রাফিক ডিজাইনে ইমরান হাসান, আলোকচিত্রে মহসিন কবির, স্থাপনাশিল্পে কুন্তল বাড়ৈ, পারফরম্যান্স আর্টে নাঈম হোসেন ও নিউ মিডিয়ায় মো. ফজলুল হক।
প্রদর্শনীতে ২১ থেকে ৩৫ বছরের ৫১৯ জন শিল্পীর ১৩৫০টি শিল্পকর্ম জমা পড়ে। চিত্রকলা, ছাপচিত্র, ভাস্কর্য, প্রাচ্যকলা, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, গ্রাফিক ডিজাইন, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্প, পারফরম্যান্স আর্ট, নিউ মিডিয়া আর্টসহ চারুশিল্পের এসব মাধ্যম থেকে শিল্পকর্ম নির্বাচকরা ৩৩৭ জন শিল্পীর ৩৬৮টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
ডিএন/এএ