মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে নিজের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। পরীক্ষা শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টোদিকে একটি পুরি-সিঙ্গারার দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি।
কোনো একটি বিষয় নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে করছিলেন হাসাহাসি। কিন্তু সেটিকে ভালোভাবে নেয়নি তাদের পেছনে বসে থাকা ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই শিক্ষার্থী ফাতেমা তাহসিন ঐশী ও ফারিহা হক টিনা। তাদের ইঙ্গিত করে পারভেজ ও তার বন্ধুরা হাসাহাসি করছেন বলে মনে করেন ওই দুই শিক্ষার্থী। তাই ছেলেবন্ধু প্রাইম এশিয়ার এলএলবির ছাত্র আবুজর গিফারী পিয়াসকে কল করে ‘নালিশ’ করেন ঐশী।
বান্ধবীর কল পেয়ে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাথীর হাসান ও বিবিএ-এর শিক্ষার্থী মেহেরাজকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে যান পিয়াস। হাসাহাসির কারণ জানতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে পারভেজের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানানো হলে তিনি পারভেজকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। ওই দুই নারী শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমাও চান পারভেজ। তারপরও বান্ধবীর কাছে ‘হিরো’ সাজতে এলাকার বন্ধুদের প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ডেকে আনেন পিয়াস।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা লাঠিসোঁটা ও ছুরি-চাপাতি দিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধু তরিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৯ এপ্রিল ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে দুজন পারভেজ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। পারভেজ হত্যা মামলার আসামিরা ‘হিরোইজম’ (বীরত্ব) দেখাতে গিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিচারিক আদালত। গত ২১ এপ্রিল এই মামলার তিন আসামির রিমান্ড শুনানিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ বলেন, “হিরোইজম দেখিয়েছে, জিরো হয়েছে। ওদের (আসামিদের) তো কোনো ক্ষতি নেই; ক্ষতি ওদের বাবা-মায়ের। ”
তুচ্ছ ঘটনায় হিরোইজম দেখাতে গিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ ও কিশোররা। মারামারি ও সংঘর্ষে পারভেজের মতো প্রাণও হারাচ্ছেন কেউ কেউ। তরুণ ও কিশোরদের এসব হিরোইজমের বলি হচ্ছে ভুক্তভোগী ও অপরাধীর পরিবারও। তেমনই একটি ঘটনা ঘটে ২০২২ সালে। বান্ধবীর সামনে হিরোইজম দেখাতে গিয়ে আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু। বান্ধবীকে নিয়ে অযাচিতভাবে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটায় ওই শিক্ষার্থী। পরে পলাতক অবস্থায় জিতুকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় ভুগতে হয় জিতুর পরিবারকেও। জিতু পলাতক থাকা অবস্থায় তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
কিশোর-তরুণদের হিরোইজমে একদিকে যেমন প্রাণহানি ঘটছে ও তাদের পরিবার বলি হচ্ছে, তেমনি সমাজেও সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ। যা নিয়ন্ত্রণে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। খুন ছাড়াও প্রায়ই হিরোইজম দেখাতে গিয়ে ঘটে মারামারির ঘটনা। রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার বেশিরভাগই তেমন। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত এ দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা শেষ আট মাসে অন্তত ১০টি ছোটবড় সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এসব ঘটনার প্রায় প্রত্যেকটির সূত্রপাত একই ধাঁচে।
ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুরুতে কলেজের কোনো একজন শিক্ষার্থীকে অপর কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেন। পরে তার প্রতিশোধ নিতে যায় অপর কলেজের একদল। এভাবে দুটি কলেজের শিক্ষার্থীরাই পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসব সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। এতে একাধিকজন আহনও হন।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিরোইজম দেখাতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ও খুনের মতো ঘটনায় যারা জড়ান, তাদের বেশিরভাগ কিশোর বা তরুণ। আবেগ দ্বারা তাড়িত এসব তরুণরা বেশিরভাগ সময়ই ঘটনার পরবর্তী প্রভাব সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেন না। এর জন্য পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষাকেই প্রধানত দায়ী করেন তারা। পাশাপাশি যথাযথ আইনের প্রয়োগ না থাকা, বিচারহীনতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারও এসব ঘটনার জন্য দায়ী মনে করেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, আমরা যে ধরনের সামাজিকীকরণের মধ্য দিয়ে বড় হই, সেখানে ঘাটতি রয়েছে। যখন কেউ দেখে সমাজে কারো প্রভাব বেশি, সে কিছু করলে অন্যরা ভয় পায় বা তাকে সমীহ করে, তখন অন্যকেও সেটি প্রভাবিত করে। নিজেকে জাহির করা বা সমাজে নিজের প্রভাব বিস্তার করার প্রবণতা সৃষ্টি হয় তার মাঝে। জোর করে নিজের আয়ত্তে আনতে চায় সবকিছু।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অপরাধগুলো কমবেশি সব সমাজে হয়ে থাকে। কিন্তু অন্যান্য সমাজ থেকে আমাদের সমাজের ব্যবধান হলো, অন্যান্য দেশে এসব অপরাধগুলোর দ্রুত বিচার ও কারণগুলো অনুসন্ধান করে নানা ধরনের আইন পরিবর্তন কিংবা মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। ফলে সেসব দেশ এ ধরনের অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমাদের দেশে এটা হয় না। এ ধরনের অপরাধের বিচারের প্রশ্নে আমাদের দীর্ঘ বিলম্ব আছে। পাশাপাশি যে বা যারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সে অপরাধী হলেও পরবর্তীতে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে ক্ষতিপূরণ বা ভুক্তভোগীর পরিবারকে ম্যানেজ করে। যে কারণে আমাদের সমাজে এ ধরনের অপরাধ বেড়ে চলেছে। অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়ার উদাহরণ অন্যকে অনুপ্রাণিত করছে।
এসব অপরাধ থেকে উত্তরণের জন্য আইনের প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে এই অপরাধ বিজ্ঞানী বলেন, তবে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী উত্তরণের জায়গা হলো মানুষকে মনুষত্বের গুণাবলী দিয়ে প্রস্তুত করা। প্রতিটি মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের অধিকার, সম্মান ও অবস্থানের প্রতি সমুন্নত থাকা, সংবেদনশীল থাকার শিক্ষাগুলো রাষ্ট্রকেই দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই গুণাবলী রাষ্ট্র মানুষের মধ্যে তৈরি করতে পারবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এমন অপরাধ ঘটতে থাকবে।
হিরোইজম দোষের কিছু নয় বলেও মনে করেন ড. তৌহিদুল হক। কিন্তু বাংলাদেশে এর চর্চাটি ধ্বংসাত্মকভাবে হয় বলে জানান তিনি। এই অপরাধ বিজ্ঞানী বলেন, আমাদের চারপাশে অসহিংষ্ণুতা, এক ধরনের জোরজবরদস্তি বা চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা কাজ করে। যার অর্থ, ক্ষমতা বা রাজনৈতিক শক্তি বা পরিচয় আছে বা প্রভাব বিস্তার করার মতো ব্যক্তি আছে, তারা সমাজের নিয়ম কানুনকে চ্যালেঞ্জ করে। নিজেদের একটি নিয়মকানুন চালু করতে চায়। এই পরিবেশ বা পরিস্থিতি যত বাড়বে, তত বেশি হিরোইজমকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে অপরাধ বাড়বে। সমাজ নীতি বিরুদ্ধ কাজে সম্পৃক্ত করার প্রবণতা মানুষকে বড় অপরাধের দিকে ধাবিত করে।
এসব অপরাধের পেছনে চলচ্চিত্র ও অনলাইন গেমেরও প্রভাব রয়েছে বলে জানান ড. তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু তরুণ-কিশোররা আবেগ দ্বারা বেশি পরিচালিত হয়। চলচ্চিত্রে দেখা ঘটনা সে ব্যক্তি জীবনে প্রয়োগ করতে চায়। পাশাপাশি অনলাইন গেমগুলোও কিশোর-তরুণদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমাদের এখানে সমাজ বাস্তবতায় যে ধরনের চলচ্চিত্র বা গেম আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে যায় না, সেগুলোতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এগুলো এখন বন্ধ করাও খুব কঠিন।
রাষ্ট্র যেহেতু এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেহেতু পরিবারগুলোর দায়িত্ব এই বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করা। যদি সেটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের সামাজিক জীবনযাপনের প্রসঙ্গটাই সবচেয়ে বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। পরিবারগুলোরই দায়িত্ব তার সন্তানকে যোগ্য করে তৈরি করা।
একই ধরনের কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা মাহমুদ। তিনি বলেন, যাদের পরিবার থেকে সহনশীলতার শিক্ষা দেওয়া হয় না, তারাই এই ধরনের অসহনশীল আচরণগুলো করে থাকে। যাদের পারিবারিক শিক্ষা ভালো নয়, বন্ধন ভালো নয়, তারাই সমাজের বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। আবার চলচ্চিত্র থেকেও তাড়িত হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, পারিবারিক শিক্ষাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি পরিবারের বাবা-মা কী করে, সেটি দেখেই সন্তানরা শেখে। পরিবারে সদস্যদের আচরণ যদি উল্টোপাল্টা হয়, তাহলে সন্তানও উল্টোপাল্টা শেখে। কোন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে, কোনটাতে করা যাবে না, সেটা তারা শিখে উঠতে পারে না।
দেশে যথাযথ আইনের প্রয়োগ হয় না বলেও মনে করেন এই মনোবিজ্ঞানী। তিনি বলেন, একটি খারাপ কাজ করলে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারি বা ঝামেলায় পড়তে পারি, এই ভয় মানুষের মধ্যে নেই। রাজনৈতিক লোকজন ধরে পার পেয়ে যাব, এই প্রবণতা তাদের মধ্যে কাজ করে। দেশে যদি ঠিকমতো আইনের প্রয়োগ হতো, তাহলেও এমন ঘটনা এড়ানো যেতো।
তবে পুলিশের দাবি, এ ধরনের অপরাধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে হিরোইজম দেখাতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় বড় ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে তারা।
এ বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর বলেন, যেসব ঘটনা ঘটে এর প্রেক্ষিতে যে মামলাগুলো হয়, এগুলো আমরা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকি। যাতে এটা উদাহরণ হিসেবে কাজ করে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুইভাবে কাজ করে থাকি। একটি হচ্ছে প্রোঅ্যাক্টিভ পুলিশিং আরেকটা হচ্ছে রিঅ্যাক্টিভ পুলিশিং। প্রোঅ্যাক্টিভ পুলিশিংয়ে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে হিরোইজম দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে কিশোররা জড়িয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে আমরা এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের এই বিষয়ে মনিটর করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা দুটি কাজ করছি। আর্লি ওয়ার্নিং, যেটি পুলিশ সদস্যরা যখন উঠান বৈঠক করে বা কোনো মিটিং করে কমিউনিটির সঙ্গে তখন এই ধরনের ঘটনার প্রভাব যেটি রয়েছে, তা বলা হয়। সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া অপরাধ ঘটে গেলে দ্রুত যাতে অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। সম্প্রতি যেসব ঘটনা ঘটেছে, প্রত্যেকটিতে অপরাধীকে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করি বলে এটি করা হয়েছে।
তবে সমাজে এই ধরনের অসঙ্গতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সমাজ ও পরিবারকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন পুলিশের এই সহকারী মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বিক সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। অর্থাৎ, সামাজিক ও পারিবারিক যে দায়বদ্ধতা, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরছে কি না, এই বিষয়গুলো দেখভাল করা জরুরি। এর সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হবে না। সেক্ষেত্রে পরিবার ও সমাজকেও এগুলো প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ধরনের অপরাধ ঘটলে সেটা দেখার পর পুলিশকে জানানো উচিত। তাহলে দ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এসসি/এমজেএফ