ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, ১০ জুলাই ২০২৫, ১৪ মহররম ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খোলা নিয়ে বিতর্ক কেন?

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২:৪৬, জুলাই ১০, ২০২৫
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খোলা নিয়ে বিতর্ক কেন? ২০২৪ সালের অক্টোবরে ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার টুর্ক

ঢাকা: বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয় স্থাপনের আলোচনা নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সরাসরি এ কার্যালয় স্থাপনের বিরোধিতায় নেমেছে।

তারা এটি স্থাপনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এই কার্যালয় স্থাপিত হলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বার্তা যেতে পারে কি না, সেই প্রশ্নও করছেন বিশ্লেষকরা।

অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, ঢাকায় তিন বছরের জন্য ওএইচসিএইচআরের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানানোর পর নীতিগত অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এটি স্থাপিত হলে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে ওএইচসিএইচআর ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও এই কার্যালয় খোলার বিষয়ে যে খসড়া সমঝোতা স্মারক তৈরি করা হয়েছে, সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি ধারায় আপত্তি তুলেছে বলে জানা গেছে।

ওএইচসিএইচআরের কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তের মূল বিরোধিতা আসছে কয়েকটি ইসলামপন্থি দল ও কিছু বাম দলের পক্ষ থেকে। ইসলামপন্থি দলগুলো মনে করছে, এই কার্যালয়ের মধ্য দিয়ে ইসলামী শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা হতে পারে। আর বিরোধিতাকারী বামপন্থি দলগুলো মনে করে, এসব কার্যালয় গাজাসহ নিপীড়িত জনপদে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে প্রমাণ নেই। বরং তারা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীর স্বার্থরক্ষা করছে বলে প্রতীয়মাণ।

গত ২৯ জুন অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের ঢাকায় একটি অফিস স্থাপনের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য এই কার্যালয় চালু থাকবে।

যে কারণে ঢাকায় ওএইচসিএইচআর কার্যালয়
ঢাকায় মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয় খোলার পেছনে যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, এই কার্যালয় হলে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সরাসরি তদন্ত করতে পারবে। এতে বাংলাদেশে মানবাধিকার আরও সুরক্ষিত হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। সে সময় ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় খোলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা সে সময় কার্যালয় খোলার বিষয়ে সম্মতিও দেন। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্থানীয় পর্যায়ে কার্যালয় স্থাপন হলে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসার আরও সহজ হবে। বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

১৬ দেশে ওএইচসিএইচআরের কার্যালয়
বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে থাকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন-ওএইচসিএইচআর। তবে সব দেশে তাদের নিজস্ব কার্যালয় নেই। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র ১৬টি দেশে সংস্থাটির কার্যালয় রয়েছে। এই দেশগুলো হচ্ছে- বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, সুদান, ইয়েমেন, শাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, তিউনিসিয়া, ফিলিস্তিন ও সিরিয়া। এসব দেশের বেশিরভাগই গৃহযুদ্ধকবলিত বা সন্ত্রাসবাদে পর্যদুস্ত। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিল্ড অফিস ও ইউক্রেনে একটি ছোট আকারে মিশন অফিস আছে।  

জানা গেছে, আরও ৪১টি দেশে ওএইচসিএইচআরের কার্যালয় খোলার বিষয়ে অনুমোদন চেয়েছে সংস্থাটি। সেসব দেশের সঙ্গে তাদের আলোচনা অব্যাহত আছে।

সমঝোতার খসড়ায় আপত্তি
ঢাকায় জাতিসংঘের ওএইচসিএইচআর কার্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকার একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে। সমঝোতা স্মারক তৈরির লক্ষ্যে উভয় পক্ষ কাজ করছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবিত খসড়ায় বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে সরকারের কর্মকর্তারা আপত্তি তুলেছেন। এর মধ্যে একটি ধারা হলো ঢাকার ওএইচসিএইচআর কার্যালয়ে যেসব কর্মকর্তা কাজ করবেন, তাদের ‘চরম অবহেলা’ বা ‘ইচ্ছাকৃত অসদাচরণ’ ছাড়া কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে তারা দায়মুক্তি পাবেন। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীদের কোনো বাধা ছাড়াই দেশে প্রবেশ-প্রস্থান, স্বাধীনভাবে চলাচল নিয়েও আপত্তি তুলেছেন সরকারের কর্মকর্তারা। সে কারণে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে।  

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলেছেন, ঢাকায় ওএইচসিএইচআরের কার্যালয় চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন।

সমঝোতা সইয়ের আগেই অনুমোদন
বাংলাদেশে ওএইচসিএইচআরের কার্যালয় খোলার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন অনুসারে, তিন বছর এই কার্যালয় পরিচালিত হবে। কার্যালয় খোলা ও পরিচালনার বিষয়ে উভয় পক্ষ একটি সমঝোতা স্মারকে সই করবে। তবে এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগেই উপদেষ্টা পরিষদে বিষয়টির অনুমোদন দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে হাইকমিশনের অফিস স্থাপনের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া রয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সরকার যদি মনে করে, এ কার্যালয় কার্যকর হচ্ছে, এটা আরও কিছুদিন থাকা উচিত, তাহলে কার্যালয় থাকবে, না হলে থাকবে না।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় কি বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে? এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, এর বিচার আমি করতে চাই না।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তি
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয় হাইকমিশনের কার্যালয় স্থাপন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আপত্তি তুলেছে। হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) প্রভৃতি রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন ঢাকায় ওএইচসিএইচআরের কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে।

হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী  ৫ জুলাই ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। অতীতে দেখেছি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামী শরীয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এবং ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেওয়া হবে না।

আগের দিন ৪ জুলাই জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এক কর্মসূচিতে সংগঠনটির নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির দৃশ্যত উন্নতি হচ্ছে। তাই ঢাকায় ওএইচসিএইচআরের অফিস খোলার প্রয়োজন নেই। জাতিসংঘের উচিত হলো ফিলিস্তিনের গাজায়, দক্ষিণ এশিয়ার কাশ্মীর ও আরাকানে মানবাধিকার অফিস খোলা। কারণ সেখানে মুসলমানরা ভয়াবহ জাতিগত নিধনের শিকার হচ্ছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিশ্বের কোনো একটি দেশ যদি দীর্ঘ মেয়াদে সংকটে পড়ে যায় তাহলে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশ তো এমন কোনো দীর্ঘমেয়াদে সংকটে পড়ে নাই যে তাদের অফিস লাগবে।  

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন—তাহলে এখানে কেন অফিস স্থাপন করতে হবে!

বিশেষজ্ঞ মতামত
ঢাকায় মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয় খোলার সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের অফিস খোলা হলে একটি নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। বিশ্বে একটি ধারণা  তৈরি হবে যে, বাংলাদেশ মারাত্মক একটি বাজে অবস্থায় আছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশও খুশি হবে। তারা রীতিমতো হাততালি দেবে। তারা মনে করবে বাংলাদেশে এখন আর বেশি বিনিয়োগ হবে না। কারণ তারা নিজেরাই প্রতিযোগী।  

এ কারণে এই সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল হক মনে করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন কার্যালয় স্থাপন হলে ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ কার্যালয় হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরি হবে। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিও গড়ে উঠবে। সে কারণে সরকারের ওপর একটি চাপও  তৈরি হবে।  

ওবায়দুল হক বলেন, আমরা তো সবাই এখন সংস্কার চাই। বাংলাদেশ যে ধারায় দীর্ঘদিন ধরে চলেছে, তা থেকে বের হয়ে আসতে চাই। সে কারণেই সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রয়োজন, আর সে কারণেই জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের  অফিস স্থাপনও হতে পারে। এই উদ্যোগ সংস্কারের সঙ্গেই যায়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন গত ৩ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি খসড়া পর্যায়ে আছে। খসড়া আদান প্রদান শেষ হওয়ার পরে একটি সম্পূর্ণ ড্রাফট আসবে, যেখানে একটি শব্দও পরিবর্তন হবে না। তখন আমরা তাদের সঙ্গে সমঝোতা সই করবো, তখন আমরা এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলতে পারবো।

তিনি বলেন, অফিস স্থাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘ একটি খসড়া দিয়েছে, বাংলাদেশ একটি খসড়া দিয়েছে। এখন পর্যন্ত চারবার খসড়া আদান–প্রদান হয়েছে। আমরা খসড়ায় কিছু সংযোজন–বিয়োজন এনেছি, জাতিসংঘ কিছু সুপারিশ করেছে। একটা পর্যায়ে আসার পরে আমরা অন্যান্য যে প্রক্রিয়া রয়েছে, তা নিয়েছি। এটি নিয়ে কাজ চলছে।

‘মানবাধিকার সুরক্ষায় শক্তি বাড়বে’
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেছেন, এখানে কার্যালয় (জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশন) থাকা মানে মানবাধিকারের জায়গা থেকে আমাদের শক্তি বাড়ল। কার্যালয় হলে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সরাসরি তদন্ত করতে পারবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন।

নেপালে ওএইচসিএইচআর কার্যালয় বন্ধ
বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয় বন্ধের নজিরও আছে। বাংলাদেশে যে ধরনের কার্যালয় খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, একই ধরনের একটি কার্যালয় প্রতিবেশী দেশ নেপালে চালু ছিল। তবে ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর নেপাল সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে তাদের চুক্তি আর  নবায়ন করেনি। কাঠমান্ডুর ভাষ্যে, নেপালের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটার কারণে জাতিসংঘের সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করেনি তারা।

ঢাকার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, যদি বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে তিন বছরের চুক্তিতে ওএইচসিএইচআর কার্যালয় চালুও হয়, চাইলে পরবর্তী সরকার তিন বছর পর চুক্তি নবায়ন নাও করতে পারে। এতে নেপালের মতোই বাংলাদেশ থেকেও কার্যালয় গুটিয়ে নিতে হবে ওএইচসিএইচআরকে।

টিআর/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।