ঢাকা, সোমবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২০ রবিউস সানি ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

নির্বাচনে অযোগ্য হলেন যারা

ইলিয়াস সরকার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৫, অক্টোবর ১২, ২০২৫
নির্বাচনে অযোগ্য হলেন যারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল হওয়ায় ক্ষমতাচ্যূত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা এরইমধ্যে নির্বাচনের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি চাকরি হারাতে হচ্ছে সরকারি কর্মে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও।


 
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না- এমন বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে। পাশাপাপি কোনো সরকারি পদেও অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। ফলে অভিযোগ দখিল হওয়া একশ’ জনের মধ্যে যারা সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন তারা চাকরি হারাবেন, বাদবাকিরা নির্বাচন করার সুযোগ হারিয়েছেন।  

যদিও সংবিধান মতে, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যদি দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর পার না হলে তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্য থাকবেন না বা পদ হারাবেন।
 
প্রসিকিউশন বলছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংবিধান দ্বারা প্রটেক্টেড। তাই এ আইন অনুসারে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় অভিযোগ দাখিল হলে নির্বাচনের অযোগ্য হবেন। আর আইনটি ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হওয়ায় আইন সংশোধনের আগে পরে এখন পর্যন্ত দাখিল করা সব মামলার আসামির ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য হবে।
 
এ পর্যন্ত ১০ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অন্তত ১০০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
 
১০ মামলার মধ্যে শেখ হাসিনাকে তিন মামলায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দুই মামলায়, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে দুই মামলায় এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমানকে দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
 
ফরমাল চার্জ দাখিল হওয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, তার জোট সঙ্গী জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাভার-আশুলিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কিছু নেতা নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন।
 
আইন সংশোধন
গত ৬ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশে আইনের ২০(সি) সংযোজন করা হয়। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩-এ একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের সেকশন ৯–এর ১–এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।
 
তিনি আরও বলেন, একইভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য হবেন। তবে ট্রাইব্যুনাল কাউকে অব্যাহতি বা খালাস দিলে তার ক্ষেত্রে এসব বিষয় প্রযোজ্য হবে না ।  
 
শেখ হাসিনার মামলা

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনে দেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে একটি এবং গুমের অভিযোগে দুটি মামলায় ফরমাল চার্জ দেওয়া হয়।  
 
জুলাই অভিযোগের মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাকি দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এখন যুক্তি তর্ক শুরু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
 
গুমের একটি মামলায় শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
 
গুমের অপর মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।  
 
চানখারপুল হত্যাযজ্ঞ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া।
 
এ মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে আটজনকে। এর মধ্যে সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার রয়েছেন শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
 
মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে ১৫তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইঁয়া।
 
আবু সাঈদ হত্যা
জুলাই আন্দোলনে রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে সাবেক উপাচার্যসহ ২৪ জন আসামি পলাতক। অন্য ছয় আসামি কারাগারে আছেন। তারা হলেন- রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
 
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানো
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত হন এবং একজন গুরুতর আহত হন। পরে নিহত ৫ জনের লাশ এবং আহত ব্যক্তিকে পুলিশ ভ্যানে তুলে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
 
সেখানে নিহতরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বোস্তামি ও আবুল হোসেন; একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
 
এ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে কারাগারে রয়েছেন আটজন। তারা হলেন- ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই শেখ আফজালুল হক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান ও কনস্টেবল মুকুল। সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এসআই বিশ্বজিৎ সাহাসহ এ মামলার আট আসামি পলাতক। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
 
রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা যুবককে গুলি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা একজনকে গুলি ও একই এলাকায় অন্য দু’জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় পলাতক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি হলেন- ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম ভূইয়া। আর গ্রেফতার আসামি হলেন রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।
 
হাসানুল হক ইনু
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে একমাত্র আসামি করে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এতে তার বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ২০ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন।
 
মাহবুব উল আলম হানিফ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে।
 
রামপুরা হত্যা
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলামসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন, বিজিবি কর্মকর্তা মো. রাফাত–বিন–আলম মুন, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।
 
চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্য
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়, তারা দেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। কোনো সরকারি অফিসে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। ফরমাল চার্জ দাখিল হওয়ামাত্র তারা আর সার্ভিসে আছেন বলে গণ্য হবেন না।
 
তিনি আরও বলেন, এটা একটা নতুন সংশোধন। একটা রাষ্ট্র বিপ্লবোত্তর পরিবেশে যখন পুর্নগঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, তখন রাষ্ট্রের প্রয়োজেন দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই আইন শুধু নয়, বিভিন্ন আইনের সংশোধনী আনছে। তার অংশ হিসেবে সময়ের প্রয়োজেন এটা করা হয়েছে।
 
এ আইনটি সংবিধান দ্বারা প্রটেক্টেড একটি আইন। সুতরাং এ আইনের রেটরোসফেক্টিভ ইফেক্ট আছে (ভূতাপেক্ষ)। এটাকে আবার সংবিধান সম্মত করা হয়েছে। সুতরাং এটার সব কিছু বৈধ বলে গণ্য হবে। এটাকে আদালতে চ্যালেঞ্জও করা যাবে না।

ইএস/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।