ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি আমানতের সুদ ৭-৯ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি আমানতের সুদ ৭-৯ শতাংশ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

ঢাকা: সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত বেসরকারি ব্যাংকে রাখা হলে ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ব্যাংক সরকারি আমানতের সুদহারের চেয়ে কম দিতে পারবে না।

কারণ, বর্তমানে সরকারি ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানের আমানতের যে সুদ দেয় তার চেয়ে কম দেওয়ার কোনো যুক্তি নাই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত বেসরকারি ব্যাংকে রাখা হলে তার সুদের হার হবে ৭ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে ব্যাংকিং খাতে তার‌ল্য সংকটের কারণে সরকারি আমানতের ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে সরকারি আমানতের ৬০ শতাংশ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতো। পরে ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর আবার শুনলাম ৫০ শতাংশে খুব বেশি ইন্টারেস্ট রেট চার্জ করছে। তাই আমরা একটি নির্দেশনা দিয়েছি ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি নিতে পারবে না।

খেলাপি ঋণ একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে মুহিত বলেন, ব্যাংকিংখাতের মোট খেলাপি ঋণ ১১শতাংশ এবং সরকারি ব্যাংকে ১৩ শতাংশ। সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি ঠিক। সরকারি ব্যাংক যেসব বিনিয়োগ করে বেসরকারি ব্যাংক সেটা করে না। সরকারি ব্যাংক সরকারের অনেক ধরনের ঝুকিপূর্ণ বিনিয়োগে করে থাকে। তাই তাদের খেলাপির পরিমাণও একটু বেশি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণের সুদহার ১ শতাংশে আসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি একটি প্রপার লেভেলে নামিয়ে আনতে।  

সঞ্চয়পত্রের সুদহারটা আমরা সব সময় একটু বেশি রাখি উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংক রেটের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি রাখতে আমরা রিভিউ করতে চেয়েছিলাম, বিভিন্ন কারণে এটি হয়নি। এখন ব্যাংক রেটের চেয়ে একুট বেশিই আছে সঞ্চয়পত্রের সুদ।  

তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এ বছরের বাজেটে আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, স্যানিটেশন ও দারিদ্র দূরীকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দেশে দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ বলা হলেও দারিদ্র্যের প্রকৃত হার ১০ বা ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে এনার্জি ও ইলেকট্রিসিটি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেটের ২ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবং পুরোটাই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে বৃদ্ধদের মাঝে বিতরণ করা হয়ে থাকে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগের জন্য বড় তহবিল হচ্ছে ব্যাংক, এটি ভুল। এদের পক্ষে গ্রাহকের ঋণ দিয়ে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়। বিনিয়োগের জন্য বিশেষ ব্যাংক একটিও নাই দেশে। আগে যেমন ছিল বিএসআরএস। এর সমাধান হলো পুঁজিবাজার। যেটা আমাদের নাই। তবে আমার মনে গতবছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) একটা গ্রহণযোগ্য অবস্থানে নিয়ে এসেছি।

বৈঠকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাশেম খান আগামী বাজেটের জন্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি, মহাসচিব ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮/আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।