ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের সহায়তা চাইলেন মন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের সহায়তা চাইলেন মন্ত্রী 

ঢাকা: হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের সহায়তা চাইলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।  

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যা পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বনায়ন, পশু পালন, হাস-মুরগি পালন, কৃষি ও মৎস্য প্রভৃতি বিষয়ে ইমামরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা সহজ হবে।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে “হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ” শীর্ষক সেমিনারে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, জীববৈচিত্র্যে ভরপুর হাওরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ, পাখি ও বৃক্ষরাজি। কিন্তু বর্তমানে কিছু মানুষ ক্ষুদ্র ও সাময়িক স্বার্থে হাওরে কারেন্ট জাল, নেট জাল ইত্যাদি ব্যবহার করে ছোট মাছ ধরছে ও পাখি নিধন করছে। বৃহত্তর স্বার্থে এসব কার্যকলাপ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জীবই কোনো না কোনো ভাবে পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীব-জগতের ভারসাম্য বজায় রাখা ও পরিবেশের সুরক্ষার স্বার্থে সব জীবকেই বাঁচতে দিতে হবে। আর শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে মদিনা সনদের মূল কথা প্রচার করতে হবে। ধর্ম যার যার। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। মা-বাবার প্রতি সন্তানদের দায়িত্ব, নৈতিকতা, সামাজিকতা, পারিবারিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো খুতবায় নিয়মিত বলতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, হাওর অঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ , সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনা জেলার ৫৭টি উপজেলার মসজিদের ইমাম ও আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ২৫ হাজার ৮৭০ জন  ইমাম, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হাওর এলাকার জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে পোস্টার ও প্রাক খুতবা মুদ্রণ ও বিতরণ এবং সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমাম, আলেম-ওলামার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের জনগণকে স্ব-কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সেমিনারে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।