ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বর্ষার পুরোপুরি বিদায়

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
বর্ষার পুরোপুরি বিদায়

ঢাকা: প্রায় পাঁচ মাস বৃষ্টি ঝড়িয়ে দেশ থেকে বিদায় নিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা। এবার আসছে শীতালু হাওয়া।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত জুনে টেকনাফ দিয়ে মৌসুমি বায়ু দেশের উপর দিয়ে ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। সেটা সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে থাকবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নেয় বর্ষা। সেটা আরও নিচের দিকে নামতে নামতে শুক্রবার (২২ অক্টেবর) পুরোপুরিভাবে দেশ থেকে বিদায় নিল।

বর্ষা বিদায় নিলেও দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যার পেছনে কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা উল্লেখ করছেন উত্তর-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর আগমন।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় আগামী শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।  

আগামী রোববার (২৪ অক্টোবর) নাগাদ আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ বর্ষণ হয়েছে হাতিয়ায় ৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবার জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। একদিনের বৃষ্টিপাতে সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে ২৮ জুলাই টেকনাফে। রেকর্ড করা হয়েছে ৩২৮ মিলিমিটার বর্ষণ।

এছাড়া জুন-জুলাই মাসে বন্যা দেখা দিলেও এবার বড় আকার ধারণ করেনি। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও ছিল গতবারের চেয়ে কম। তবুও ১৫টি জেলার নিম্নাঞ্চল মধ্য মেয়াদি বন্যায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বিলীন হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি।

চলতি বছর বন্যায় জীবনের ক্ষতি তেমন হলেও বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একদিনে ১৭ জনের একসঙ্গে বজ্রপাতের শিকার হওয়ার বিষয়টি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ৩২৯ জন মারা গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।