ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বোমা মেশিনের ব্যবহারে হুমকিতে পরিবেশ

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
বোমা মেশিনের ব্যবহারে হুমকিতে পরিবেশ

বরগুনা: বরগুনায় অবৈধ ড্রেজার (বোমা পাওয়ার পাম্প) মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। গ্রামের নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় টাস্কফোর্সের অভিযানে অসংখ্য বোমা মেশিন জব্দ করা হলেও করা হয়নি মামলা।



খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পরে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের আমতলী খাল থেকে মেশিনটি উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক চন্দ্র রায়ের জিম্মায় রাখে পুলিশ। অভিযানের দায়িত্বে থাকা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুম মেশিনটি জব্দের কথা শিকার করে বলেন, মেশিনটি চাইলে মালিক নিয়ে নিতে পারেন। তবে আমরা এ মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেবো না।

জিম্মায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য মানিক চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অবৈধ ড্রেজার মেশিন আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। আমি মেশিনটি মাসুদ নামে এক স্থানীয় ব্যক্তির জিম্মায় রেখেছি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১-২২ অর্থবছরে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) দ্বিতীয় পর্যায়ের দুটি প্যাকেজ অনুমোদন পায় বরগুনা সদর উপজেলা। হেরিং বোন বন্ড এইচবিবির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোহাবাহানের বাড়ি থেকে আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে কবির মাস্টারের বাড়ির মসজিদ পর্যন্ত ৩৩৫ মিটার রাস্তা পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কনস্ট্রাকশন। পরে এখানে ঠিকাদার নয়ন অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী খাল থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ওই রাস্তায় দিচ্ছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ দেয়। পরে বরগুনা থানা থেকে এএসআই মাসুম গিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিনটি জব্দ করেন।  

এ বিষয়ে নির্মাণ কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার নয়ন জানান, বালুর ফেলার কন্ট্রাক্ট স্থানীয় রাজীব নামে এক ব্যক্তিকে দিয়েছি। তিনি সিএফটি ১১টাকা করে নেয়।  

বালুর কন্ট্রাক্ট নেওয়া রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইলফোনে বলেন, আমি কোন বালুর কন্ট্রাক্ট নিইনি এবং নয়ন ঠিকাদারের কোনো কাজ করি না। তবে, আমরা বালু উত্তোলনের জন্য জরিমানা দিয়েছি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ৯৯৯ সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি। বোমা মেশিনটি স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে কারো কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিয়া শারমিন মোবাইলফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।