ঢাকা: হাওর অঞ্চলের নদ-নদীর পানি এখনও কমেনি। অনেক নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট জেলার প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার নদ-নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। নেত্রকোণার প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) নাগাদ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ অবস্থায় সিলেট জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। আর সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। আবার নেত্রকোণা জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল ধীরগতিতে বাড়তে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯টি স্টেশনের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত পানির সমতল বেড়েছে ১৪টিতে, কমেছে ২৫টিতে। আর দুটিতে পানির সমতল বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।
সারিগোয়াইন নদীর পানি সিলেটের সারি ঘাটে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাউলাই নদীর পানি নেত্রকোণার খালিয়াজুরিতে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
হাওর অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে লাখ লাখ হেক্টর জমির ধান। এখনও পানির নিচে রয়েছে প্রধান খাদ্য শস্যটি। কয়েক বছর আগে এভাবেই আকস্মিক বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল হাওরের ফসল। ফলে ধানের দেশেই দেখা দিয়েছিল ভাতের আকাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২২
ইইউডি/এএটি