ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তন: ভৌগলিক কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২২
জলবায়ু পরিবর্তন: ভৌগলিক কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান এবং ইউএসএআইডি আয়োজিত ‘অ্যাডাপ্টিং টু ক্লাইমেট চেঞ্জ: বাংলদেশ’স প্রগ্রেস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বুধবার (১ জুন) ইডব্লিউএমজিএল কনফারেন্স কক্ষে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সান এবং ইউএসএআইডি আয়োজিত ‘অ্যাডাপ্টিং টু ক্লাইমেট চেঞ্জ: বাংলদেশ’স প্রগ্রেস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডেইলি সানের সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি—এই দুটি মিলে যে ভয়াবহতা তৈরি হয়েছে, তা তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে কঠিন প্রভাব ফেলছে বাংলাদেশে।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার ১০টি বড় প্রজেক্ট বাদ দিয়েছে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাব ফেলবে বলে। জলবায়ু পরিবর্তন হবেই। সেজন্য আমাদের অ্যাডাপ্টেশনের দিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশের জন্য অন্য কোনো অপশন নেই।

আমাদের সম্পদ সীমিত তবুও আমরা চেষ্টা করছি। যদি স্বচ্ছতা থাকে এবং প্ল্যান মাফিক কাজ করতে পারি তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো সম্ভব, বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।


অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রেজাউল হক।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে এক নম্বর আলোচ্য বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন। এ সংক্রান্ত ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশ ৭ম স্থানে আছে। ইতোমধ্যে অতীতের চেয়ে রেকর্ড তাপমাত্রা, বর্তমানে যা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি। এর অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।

তবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কপ-৭ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের এই যাত্রা শুরু। এ লক্ষ্যে ২০০৫ সালে ন্যাশনাল অ্রাডাপ্টেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (নাপা) শুরু হয়, ২০০৯ সালে এসে সেটি আপডেট হয়। ডেল্টা প্ল্যান এবং এসডিজির সাথে সংযুক্ত করে এটা ৬টি মূল বিষয় নিয়ে কাজ করছিল, পরবর্তীতে ২০২২ সালে মোট ১১টি বিষয়ে বর্ধিত করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশ ও বন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

মিডিয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ সম্পর্কে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে দেশি গণমাধ্যমগুলো।  নগরের দূষণ রোধ করার জন্য আইনের কড়াকড়ির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সভাপতি আবু নাসের খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা এবং ঝুঁকি শিক্ষা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জোহা।

বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ঝুঁকি মোকাবিলায় অধিকতর গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ক পাঠ্যসূচি প্রণয়নের কথা বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২২
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।