ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পাউবোর আশ্বাস মানতে নারাজ ফেনীর উত্তরাঞ্চলবাসী

স্টাফ করেসপপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
পাউবোর আশ্বাস মানতে নারাজ ফেনীর উত্তরাঞ্চলবাসী

ফেনী: গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতিবছরের মতো এবারও ফেনীর পরশুরাম-ফুলগাজীতে মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর চারটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

প্রতিবারই বাঁধ ভাঙলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশ্বাস এবার মানতে নারাজ উত্তরাঞ্চলবাসী। প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে বন্যার এ দুর্গতি থেকে মুক্তি চান তারা।

সোমবার (২০ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, দেড়পাড়া ও দক্ষিণ বরইয়া এবং পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা এলাকার চারটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।  
পানি ঢুকে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, মধ্যম দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বরইয়ার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেড়পাড়ায় একটি স্থান ভেঙে নিলক্ষী, উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ শ্রীপুর, ঘোষাইপুর গ্রামের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে এসব গ্রামগুলোর অনেক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের ক্ষেত, পুকুরের মাছ ও বীজতলা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছরে বর্ষায় অতি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এসব স্থানের নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। নদীর পানি গ্রামের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসীর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঘরবাড়ি, শত শত পুকুরের মাছ ও ফসল পানির তোড়ে ভেসে যায়।

তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর ভাঙনের পর জায়গাগুলো নামমাত্র মেরামত করা হয়। কিন্তু বাঁধের স্থায়ী সমাধান হয় না। তাদের দাবি, নদী শাসনের মাধ্যমে সংস্কার করা হলেই এ ভাঙন রোধ সম্ভব হবে। স্থানীয়রা ভাঙনকবলিত এলাকায় ত্রাণ জাতীয় সাহায্য চান না। বাঁধের স্থায়ী সমাধান হোক, এটাই তাদের দাবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এসএইচডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।