ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বিপৎসীমার নিচে নামেনি কুশিয়ারার পানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
বিপৎসীমার নিচে নামেনি কুশিয়ারার পানি

সিলেট: ভারী বর্ষণ ও উজানের নেমে আসা ঢল ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। দুই জেলার মধ্যে সিলেট নগরীসহ ১৩ উপজেলা ৮০ ভাগ এবং সুনামগঞ্জ জেলার অন্তত ৯০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়।

 

বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ৪০ ভাগ মানুষ। বিপর্যয় নেমে আসে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায়।

বর্তমানে সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, সারি নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। অন্যদিকে কুশিয়ারার পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের ছয়টি উপজেলা, প্লাবিত হয়েছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

শনিবার (২৫ জুন) সারা দিনেও সুরমার পানি ১/৩ সেন্টিমিটার করে কমলেও এখনো বিপৎসীমার নিচে নামেনি। আর কুশিয়ারার পানিও বিপৎসীমার ওপরে স্থিতাবস্থায় রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপরে ও সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নীচে নেমে আসে। যদিও এদিন সকাল ৬টায় এই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে শেওলা পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬৯ অর্থাৎ বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। সকাল ৬টা থেকে সারা দিনে পানি কমেছে মাত্র ১ সেন্টিমিটার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সুরমার পর কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে গেল ২/৩ দিন ভারী বর্ষণ না হওয়ায় পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।

এদিকে, ভয়াবহ বন্যায় উপদ্রুত এলাকাগুলোর হাজার হাজার মানুষ বাসস্থান হারিয়েছেন। দুর্গত এলাকা থেকে প্রাণে বেঁচে আশ্রিত লোকজন ঘরে ফিরলেও নতুন করে সংসার সাজাতে পড়েছেন বিপাকে। তাদের কাছে জীবিকার সংস্থান মুখ্য হয়ে উঠেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রথম দিকে সরকারি ত্রাণ সহায়তা অপ্রতুল থাকায় খাদ্যাভাবে পড়া মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন। যদিও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বানভাসিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। দেশ-বিদেশের ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়া মানুষ ক্ষুধার জ্বালা মেটাচ্ছেন ত্রাণ পেয়ে। যদিও উপদ্রুত এলাকার অনেক স্থানে ত্রাণ সহায়তা কম পৌঁছচ্ছে বলেও জানা গেছে।

গত ১৫ জুন থেকে চলতি বছরে তৃতীয় দফায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষ। শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেটের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ এলাকা। এখনও বেশির ভাগ জলমগ্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এনইউ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।