ঢাকা: চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সৃষ্টির আশঙ্কা আবহাওয়াবিদরা নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, এটি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বা জিএফএস বার্তাটি দিয়েছে। আমরা বার্তাটি পেয়েছি। তারা বলেছে, ১৭ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যেটা পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঝড় হবে, সেটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আমাদের সুন্দরবনের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে। এটি আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তারা এটার ওপর নজর রাখছেন। এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোনো ঝুঁকির কথা তারা আমাদের জানাননি। তারা বলেছেন, এটি আরও পর্যবেক্ষেণ করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও লঘুচাপ এখনও সৃষ্টি হয়নি। আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তিনিও এটা নজরদারিতে রাখতে বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়টি সৃষ্টি হলে এর ‘সিত্রাং’ নামকরণ করা হবে। এটি থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সতর্ক আছি। আমাদের আবহাওয়া দপ্তর জাপান ও ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। সিদ্ধান্ত এলে, আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কিন্তু আজকের দিন পর্যন্ত কোনো নিম্নচাপ বা লঘুচাপের তথ্য আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে এ বার্তাটি পৌঁছে গেছে, তারা প্রস্তুত আছে। সাধারণত নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে থাকি। এর আগে আমাদের কাজ হলো স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা। সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা এবং আশ্রয়কেন্দ্রের পথ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করা। আশ্রয়কেন্দ্রে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চাল, শুকনো খাবার, সুপেয় পানি ও নগদ টাকা পৌঁছে দেব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় হলে এর মাত্রা বুঝে যখন মহাবিপদ সংকেত হবে ওই সময় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস