ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ডিপিএলের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
ডিপিএলের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ছবি: শোয়েব মিথুন

ব্যাটিংয়ে শুরুতে বিপদে পড়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সময়ের সঙ্গে সেটি কাটিয়ে উঠে তারা।

নুরুল হাসান সোহান দারুণ খেলেন, রান আসে পারভেজ রাসূল-জিয়াউর রহমানের ব্যাটেও। বেশ ভালো সংগ্রহই পায় শেখ জামাল। কিন্তু আবাহনীর হয়ে দারুণ শুরু করে ম্যাচ মুঠোয় আনেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। বাকি কাজ সারেন আফিফ হোসেন-মোসাদ্দেক হোসেনরা।  

শনিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। জবাব দিতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে জয় পায় আবাহনী। এই জয়ে এবারের ডিপিএল শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে তাদের।  

১৬ ম্যাচ খেলে ১৪ জয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আবাহনী। দুইয়ে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল একটি ম্যাচ কম জিতেছে। ঢাকার ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদার আসরে এটি ২২তম শিরোপা আবাহনীর। লিস্ট-এ ক্রিকেটের মর্যাদা পাওয়ার পর এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরত যান সাইফ হাসান। তানভীর ইসলামের বলে কোনো রান করার আগেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার সৈকত আলি ১১ বলে ৮ রান করে খুশদিল শাহের বলে তানভীর ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান।  

তিন নম্বরে খেলতে নেমে বড় রান করতে পারেননি রবিউল ইসলাম রবি। ১১ বলে ৫ রান করে তানভীর ইসলামের বলে আউট হন তিনি। ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেন তাইবুর রহমান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দুজনের জুটিতে আসে ৮১ রান।  

২ চারে ৭০ বলে ৪০ রান করে ফজলে মাহমুদ আউট হলে এই জুটি ভাঙে। এরপর তাইবুরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৮৫ বলে ৫৩ রান করে সাইফ উদ্দিনের বলে আউট হন তিনি। পরের পথে দলকে টানেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। পারভেজ রাসূলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৮৩ রানের।  

৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে ৪২ রান করে তানজীম হাসান সাকিবের বলে আউট হন পারভেজ। কিন্তু সোহান খেলেন দুর্দান্ত। এই ব্যাটার শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৭০ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর মধ্যে চোট পান আবাহনীর সাইফ উদ্দিন।  

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও খুশদিল শাহের ওভার বাকি থাকলেও শেষ ওভার করতে আসেন এনামুল হক বিজয়। এই ওভারে ১৯ রান দেন তিনি। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে জিয়াউর রহমান ১ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪ বলে ২৯ রান করেন। আবাহনীর পক্ষে দুই উইকেট করে নেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।  

জবাব দিতে নেমে আবাহনীকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই তারা ছিলেন দুর্দান্ত। শেখ জামালের বিপক্ষে লিগের শেষ ম্যাচে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২৭তম ওভারে এসে ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৭৯ বলে ৬৮ রান করা নাঈম শেখকে আউট করেন তাইবুর রহমান। এবারের আসরে ১৬ ইনিংসে ৭১.৬৯ গড় ও ৯১.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ৯৩২ রান করেছেন নাঈম। লিস্ট-এ ক্রিকেটেই এক আসরে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।  

এরপর ৮১ বলে ৭২ রান করা এনামুল হক বিজয় আউট হন আরিফ আহমেদের বলে। তিন নম্বরে খেলতে নেমে ১৮ বলে ৯ রান করে তাইবুর রহমানের বলে বোল্ড হন মাহমুদুল হাসান জয়ও। ১৪ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদেই পড়ে যায় আবাহনী। কিন্তু সেখান থেকে তাদের টেনে তোলেন আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।  

২২ বলে ২২ রান করে পারভেজ রাসূলের বলে আউট হন মোসাদ্দেক হোসেনও। কিন্তু দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে তারপর থামেন আফিফ। এই ব্যাটার ৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৫৩ বলে ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে ৭ বলে ১ ছক্কায় ১২ রান করেন তানজিম হাসান সাকিব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩ 
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।