প্রথম দুই ম্যাচের দলে ছিলেন না শেখ মেহেদী। তবে আজ সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সুযোগ পেয়ে শ্রীলঙ্কাকে স্পিনবিষে ছোবল মেরেছেন তিনি।
কলম্বোয় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা আজ শুরুতেই হোঁচট খায় শেখ মেহেদীর ঘূর্ণিজাদুর সামনে। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই তো দলীয় রান ৫০ না হতেই ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুর্দান্ত।
তবে উইকেটের শুরুটা করেছেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ১৪ রানে কুশল মেন্ডিসকে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন শরীফুল। এরপর শুরু হয় শেখ মেহেদীর ঘূর্ণি। তাতে নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। এক এক করে লঙ্কানদের টানা ৪ উইকেট নেন এই অফস্পিনার।
শ্রীলঙ্কান ব্যাটারদের নাচিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংও করেছেন শেখ মেহেদী। ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটা মেডেন ওভারও করেছেন। আগের সেরা ছিল ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩ রানে ৪ উইকেট।
মেহেদীর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। ৪ ওভারে ১৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। আর রিশাদ ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করলেও থাকেন উইকেটশূন্য।
তবে বাংলাদেশের দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব দুজনেই ছিলেন খরুচে। বিশেষ করে শরিফুল। ৪ ওভার বল করে ১ উইকেট পেলেও ৫০ রান খরচ করে ফেলেন তিনি।
এর মধ্যে ২০ রান খরচ করেন নিজের ও ইনিংসের শেষ ওভারেই। শানাকা ওই ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান অবশ্য ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার। ৩৯ বলে ৪৬ রান করেছেন তিনি। এছাড়া ১৫ বলে ২১ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। একসময় ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। তবে শানাকার ব্যাটে মুখরক্ষা হয় তাদের।
এমএইচএম