দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি খেলে র্যাংকিংয়ে দারুণ উন্নতি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন। একই ম্যাচে আলো ছড়ানো মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেডও এগিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের তালিকায়।
বুধবার প্রকাশিত আইসিসির সাপ্তাহিক হালনাগাদে দেখা যায়, গ্রিন এক লাফে এগিয়েছেন ৪০ ধাপ। ক্যারিয়ার সেরা ৭৮ নম্বরে উঠেছেন এই অলরাউন্ডার, যা তার আগের সর্বোচ্চ অবস্থান (৮৭তম) ছাড়িয়ে গেছে। অধিনায়ক মিচেল মার্শ এগিয়েছেন ৪ ধাপ, আছেন ৪৪ নম্বরে। আর ট্রাভিস হেড উঠেছেন এক ধাপ, যৌথভাবে ১১ নম্বরে শ্রীলঙ্কার কুসাল মেন্ডিসের সঙ্গে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটিং তাণ্ডবের শুরুটা করেন হেড ও মার্শ। উদ্বোধনী জুটিতে তারা এনে দেন ২৫০ রান। মার্শ ১০৩ বলে ১০৩ রান করেন, আর হেড ১০৩ বলে খেলেন ১৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। পরে গ্রিন মাত্র ৫৫ বলে ৮ ছক্কা ও ৬ চারে ১১৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচের চেহারাই পাল্টে দেন।
প্রথম তিন ব্যাটারের দুর্দান্ত ইনিংসে ২ উইকেটে ৪৩১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ১৫৫ রানে। বিশাল ২৭৬ রানের জয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় অতিথিরা।
র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জশ ইংলিসেরও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৮৭ রানের ইনিংস খেলার পুরস্কার হিসেবে তিনি এগিয়েছেন ২৩ ধাপ, অবস্থান এখন ৬৪ নম্বরে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের শীর্ষ দশেও আসেনি কোনো পরিবর্তন, সেখানে চূড়ায় আছেন ভারতের শুবমান গিল।
বোলারদের তালিকায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫৭ রানে ১ উইকেট নেওয়ায় রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছেন কেশাভ মহারাজ। তাতে শ্রীলঙ্কার মাহিশ থিকশানার সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে উঠে গেছেন এই স্পিনার। দুজনের রেটিং পয়েন্ট এখন সমান—৬৭১। মহারাজের সতীর্থ লুঙ্গি এনগিডি এগিয়েছেন ৬ ধাপ, আছেন ২৮তম স্থানে। উন্নতি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার শন অ্যাবট (৯ ধাপ এগিয়ে ৪৮তম) ও ন্যাথান এলিসেরও (২১ ধাপ এগিয়ে ৬৫তম)।
অলরাউন্ডারদের তালিকায় অবশ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। যথারীতি শীর্ষে আছেন আফগানিস্তানের আজমাতউল্লাহ ওমরজাই।
আরইউ