শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপকে শুরুতেই চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। লঙ্কানদের সেই চাপ থেকে বের করেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। টস জিতে আগে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করেছে লঙ্কানরা।
এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের যাত্রা শুরু হয়েছে। আর ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে উইকেটকিপার–ব্যাটার পারভেজ হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার তানভীর হোসেনের। ওপেনার হিসেবে মোহাম্মদ নাঈমের জায়গায় খেলছেন পারভেজ হোসেন।
বাংলাদেশ দলে আজ তিন পেসার রাখা হয়েছে। এর সুফলও মিলেছে। দুই পেসার তাসকিন ও তানজিম মিলেই তুলে নেন ৭ উইকেট। যদিও আরেক পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৬ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি।
লঙ্কান ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন তানজিম। তার বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন পাথুম নিসাঙ্কা (০)। এরপর ২৪ যোগ করতেই আরও ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দুটিই তাসকিনের শিকার।
সেখান থেকে কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কা মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তারা দুজন মিলে তাদের দলের রান ৮৯ পর্যন্ত নিয়ে যান। ৪৩ বলে ৪৫ রান করা কুশলকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার তানভীর।
এরপর জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে মিলে শ্রীলঙ্কাকে দেড়শ পার করান আসালাঙ্কা। সেই জুটির সমাপ্তি হয় শান্তর হাতে। পার্ট-টাইম স্পিনে তিনি ২৯ রান করা লিয়ানাগেকে বিদায় করেন। এরপর আরও দুটি ছোট ছোট জুটি পায় শ্রীলঙ্কা। দুটিতেই মূল ভূমিকা পালন করেন আসালাঙ্কা। এর মধ্যে মিলান রত্নায়েকে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দুজনেই ২২ রান করে করেন।
শেষদিকে লঙ্কান ইনিংস একাই টেনে নেন আসালাঙ্কা। তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। সেটির ওপর ভর করেই অবশ্য দেড়শ ছুঁতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শেষ ওভারে আসালাঙ্কাকে (১২৩ বলে ১০৬ রান) বিদায় করেন তানজিম।
এমএইচএম