দলের প্রয়োজনে হাল ধরেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। তবুও রান তুলতে বেশ হিমশিম খাচ্ছিলো বাংলাদেশ।
কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আজ টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। একাদশে দুটি পরিবর্তনও এসেছে। বাজে ফর্মে থাকা লিটন দাস ও চোটে আক্রান্ত তাসকিন আহমেদের জায়গায় এসেছেন শামিম হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় সংগ্রহ ১০ স্পর্শ করতেই বিদায় নেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৭)। তবে এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইমন ফিফটি তুলে নিলেও ১৯ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন সদ্যই টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া শান্ত।
এরপর তাওহিদ হৃদয় ও ইমন মিলে আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। এটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। কারণ ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৬৭ রানে। পাঁচে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও পারেননি টিকে থাকতে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ১০ বলে করেছেন ৯ রান।
বিপর্যয়ে হাল ধরেছিলেন শামিম ও হৃদয়। কিন্তু তারাও জুটি ধরে রাখতে পারেননি। শামিম ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও করতে পারেন ২২ রান। জাকের আলীও উইকেটে সেট হয়েছিলেন। কিন্তু দলকে ২০০ পার করার পর তারও বিদায় ঘটে ব্যক্তিগত ২২ রানে। তবে হৃদয় ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু তানজিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে ফেরেন হৃদয় (৫১)।
এই পরিস্থিতিতে সাকিব নিজেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। খেলেন ২১ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। কিন্তু অপরপ্রান্তে আর কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় দলকে আড়াইশ পার করাতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের ইনিংসও থামে ৪৫.৫ ওভারেই।
এমএইচএম