১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর মুখ খুললেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ১২৩টি টেস্টে ৯২৩০ রান করা এই ব্যাটিং মহাতারকা ভারতের সর্বকালের চতুর্থ সর্বোচ্চ টেস্ট রান সংগ্রাহক—শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় ও সুনীল গাভাস্কারের পরেই তার অবস্থান।
লন্ডনে সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের ‘ইউউইক্যান’ ফাউন্ডেশনের অর্থ সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিলেন কোহলি। সেখানে এক পর্যায়ে দর্শকদের একজন বলে ওঠেন, ‘মাঠে আপনাকে মিস করছি। ’
জবাবে হেসে কোহলি বলেন, “দাড়ি রঙ করলাম মাত্র দু’দিন আগে। যখন চারদিন পরপর দাড়িতে রং দিতে হয়, তখনই বোঝা যায় সময়টা এসে গেছে। ”
টেস্ট ক্রিকেটে নিজের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন যে ব্যক্তি, তার নামও উল্লেখ করেছেন কোহলি, ‘রবি ভাইয়ের সঙ্গে কাজ না করলে টেস্টে যা করেছি, তা কখনো সম্ভব হতো না। উনার সঙ্গে আমার বোঝাপড়া, যেটা খুব কমই পাওয়া যায়, আমার ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে সেটাই বড় ভূমিকা রেখেছে। উনি যদি আমাকে সেভাবে সাপোর্ট না করতেন, সামনে থেকে প্রেস কনফারেন্সে গিয়ে চাপ না নিতেন—সবকিছু হয়তো ভিন্নভাবে ঘটত। উনার প্রতি আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। ”
কোহলিকে সম্প্রতি দেখা গেছে উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে, স্ত্রী আনুশকা শর্মার সঙ্গে। এ নিয়ে কোহলি বলেন, ‘২০১৫ সালে প্রথমবার উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে এসেছিলাম। তখন থেকেই ভাবছিলাম আবার আসব। নানা কারণে হয়ে উঠছিল না। এখন একটু সময় হাতে আছে, তাই আবার চলে এলাম। ‘
তার মতে, উইম্বলডনের মতো মঞ্চে খেলোয়াড়দের ওপর যে চাপ থাকে, তা বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বা সেমিফাইনাল-ফাইনালের চাপের সমতুল্য হতে পারে।
কোহলির ভাষায়, ‘তেমন ম্যাচে তো পা কাঁপে। কিন্তু টেনিস খেলোয়াড়রা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই এই চাপ সামলাচ্ছে। ওদের মানসিক দৃঢ়তা, ফিটনেস আর ধৈর্য দেখে সত্যিই শ্রদ্ধা আসে। ’
এমএইচএম