ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

ক্রিকেট

২-২ ন্যায্য ফল, ‘কিন্তু হতাশা থাকবেই’ স্টোকসের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫৫, আগস্ট ৫, ২০২৫
২-২ ন্যায্য ফল, ‘কিন্তু হতাশা থাকবেই’ স্টোকসের সংগৃহীত ছবি

চোটের কারণে সিরিজের শেষ টেস্ট মিস করলেও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ভারতের বিপক্ষে ২-২ তে ড্র হওয়া সিরিজকে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সিরিজ বলে উল্লেখ করেছেন।  

ওভালে শেষ টেস্টে ভারতের নাটকীয় ছয় রানের জয়ের পর স্টোকস স্বীকার করেন, সিরিজ ড্র হওয়াটা ন্যায্য ফল, তবে জয় হাতছাড়া হওয়ায় কিছুটা হতাশা থেকেই গেছে।

স্টোকস বলেন, 'এই পুরো সিরিজই দারুণ ছিল। সবগুলো ম্যাচই গিয়েছে পাঁচদিন পর্যন্ত। দুটো দারুণ দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ২-২ ফলটা হয়তো সবচেয়ে উপযুক্ত। তবে আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা হতাশা থাকছেই, বিশেষ করে শেষ ম্যাচে জয়ের এত কাছে গিয়েও পারিনি। '

স্টোকস বলেন, এমন উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজই প্রমাণ করে যে টেস্ট ক্রিকেট এখনও মরেনি। ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, 'আমি টেস্ট ক্রিকেটের একজন বড় সমর্থক হিসেবে বলব, এই সিরিজ প্রমাণ করেছে যে টেস্ট ক্রিকেট বেঁচে আছে। যেভাবে খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে, তাতে ক্রিকেটই জিতেছে। এটা টেস্ট ফরম্যাটের পক্ষে একটা বড় বার্তা। '

চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৪ রান তাড়া করতে নেমে হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত ১১১ রানের ইনিংস এবং জো রুটের সেঞ্চুরিতে ভর করে ইংল্যান্ড নিয়েছিল দারুণ এক নিয়ন্ত্রণ। ১৯৫ রানের জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দেন ৩০০ পেরিয়ে। তবে ভারতের দুর্দান্ত কামব্যাক আর শেষ দিনে বৃষ্টির বাঁধা শেষে ম্যাচ শেষ হয় রোমাঞ্চকর নাটকীয়তায়।

হ্যারি ব্রুকের আক্রমণাত্মক খেলা ও তার আউটের ধরন নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করলেও, স্টোকস তার পক্ষেই দাঁড়ালেন। তিনি বলেন, 'যেভাবে ও খেলেছে, যেভাবে শতরান করেছে, সেসব দেখে সবাই তখন হাততালি দিয়েছে। ওর আউট হওয়ার শটও সেই ইনিংসেই বহুবার খেলা হয়েছে। তাই এখন সেটা নিয়ে সমালোচনার কিছু দেখি না। '

স্টোকসের কণ্ঠে প্রশংসা ছিল চোট নিয়ে খেলা সবার জন্য। ক্রিস ওকস, যিনি কাঁধে চোট নিয়ে ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, বা ভারতীয় ব্যাটার ঋষভ পন্ত, যিনি ভাঙা পায়ে ব্যাট করেছিলেন, সবাইকেই সম্মান জানালেন স্টোকস, 'ক্রিসের কাঁধ ছিল প্রায় খুলে যাওয়া। ও ব্যথা নিয়ে দৌড়াচ্ছিল। ঋষভ পন্ত ভাঙা পায়ে ব্যাট করেছে, বশির ব্যাট-বল-ফিল্ডিং করেছে ভাঙা আঙুল নিয়ে। দুই দলের খেলোয়াড়দেরই এই চেষ্টা, এই আত্মত্যাগ অসাধারণ। '

এছাড়া স্টোকস আলাদা করে প্রশংসা করেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজের, সিরাজের প্রতি আমার বরাবরের মতোই শ্রদ্ধা আছে। ও একজন লড়াকু বোলার, বারবার ফিরে আসে, আক্রমণ চালিয়ে যায়। ওর সঙ্গে খেলাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং। '

সবশেষে ২০২৩ সালের অ্যাশেজের সঙ্গেও তুলনা টানেন স্টোকস, 'এই সিরিজটাও ছিল ওঠানামায় ভরা। ২০২৩ সালের অ্যাশেজেও এমনই ছিল, সেখানেও ফল ২-২ হয়েছিল। দুই সিরিজই আমার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। যদিও হারাটা কষ্ট দেয়, কিন্তু ক্রিকেটের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ছিল দারুণ এক বিজ্ঞাপন। ।

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।