কলম্বোয় দারুণ এক জয়ের দোরগোড়ায় থেকেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে। শ্রীলঙ্কা নারী দলকে ২০২ রানে গুটিয়ে দিয়েও জয় তুলতে পারেননি নিগার সুলতানারা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। সাজঘরে ফেরেন বিশ্মি গুনারত্নে। এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও চামারি আতাপাত্থুর বিদায়ে আবারও বিপদে পড়ে দলটি। ৭২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। মাঝের ওভারে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে কার্যত অসহায় হয়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা।
শেষ দিকে উদেশিকা প্রাবোধানী ও মলকি মাদারার ছোট ইনিংস কিছুটা রান তুললেও বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়নি। ৪৮.৪ ওভারে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন হর্ষিথা সামারাবিক্রমা।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন স্বর্ণা আক্তার। তিনি ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। রাবেয়া খান ৯ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়া নাহিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি ও মারুফা আক্তার একটি করে উইকেট শিকার করেন। রিতু মনি ও অন্যান্য বোলাররাও পুরো ইনিংসজুড়ে চাপ ধরে রাখেন, যার ফলে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি লঙ্কান ব্যাটাররা।
২০৩ রানের টার্গেট তাড়ায় শুরু থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ হারায় বাংলাদেশ। ওপেনিং ব্যর্থতা দেখা দেয় এই ম্যাচেও। ইনিংসের ২৪ রানের মধ্যে পড়ে যায় ২ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন শারমিন আক্তার। তার অনবদ্য ৬৪ রানের ইনিংস দলকে আশার আলো দেখায়।
তবে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এবার দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। স্বর্ণা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি রানের গতি ধরে রাখেন। একসময় মনে হচ্ছিল জয় এখন বাংলাদেশের নাগালে। নিগার ৯৮ বলে ৭৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন।
কিন্তু শেষদিকে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। একের পর এক উইকেট হারিয়ে টাইগ্রেসরা পরাজয়ের মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ইনজুরি নিয়ে ফিরে আসা শারমিনও হার এড়াতে পারেননি। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৫ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে। শ্রীলঙ্কা জয় পায় ৭ রানে।
এফবি/এমজে