ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আইরিশদের সঙ্গে প্রত্যাশিত বড় জয় প্রোটিয়াদের

ওয়োর্ল্ডকাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৫
আইরিশদের সঙ্গে প্রত্যাশিত বড় জয় প্রোটিয়াদের সংগৃহীত

ব্যাট হাতে ঝড় তোলার প্রত্যাশা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দলের হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের। কিন্তু আইরিশদের বিপক্ষে তার ব্যাট না কথা বললেও হাশিম আমলা এবং ডু-প্লেসিসের সেঞ্চুরিতে ৪১১ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় প্রোটিয়ারা।



জবাবে ব্যাট করেত নেমে দলীয় ১৭ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরত যায় স্টারলিং। বিশ্বকাপের প্রথম উইকেট নিয়ে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন ডেল স্টেইন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। সর্বোচ্চ ৫৮ এবং ৪৮ রান আসে বালবির্নি ও কেবিনও ব্রায়ানের ব্যাট থেকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২১রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন অ্যাবোট। এছাড়া মনি মরকেল ৩ ও এবি ডি ভিলিয়ার্স নিয়েছেন এক উইকেট।

ফলে ২১০ রানেই শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। এতে ২০১ রানের সহজ ও প্রত্যাশিত জয় পেল প্রোটিয়ারা। এ জয়ের ফলে ৬ পয়েন্ট টেবিলে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থান দুই। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ভারত।  

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নিজের শততম ম্যাচে দ. আফ্রিকার পেস বোলার ডেল স্টেইনের করা তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে ডি-ককের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন স্টারলিং। পরে এড জয়েসকেও ফেরান স্টেইন। আর অন্য ওপেনার উলিয়াম পোর্টারিফিল্ডের উইকেটটি নেন অ্যাবোট। এছাড়া অ্যাবোটের আঘাতে সাজঘরে ফেরেন নেইল ও’ব্রাইন এবং উইলসন।

দলীয় ৪৮ রানের মাথায় আইরিশদের টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। তবে, সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন কেভিন ও’ব্রাইন এবং অ্যান্ডি বালবিরনি। তারা দুজন মিলে গড়েন ৮১ রানের পার্টনারশিপ।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রান করে আইরিশদের ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অ্যান্ডি বালবির্নি। ৭১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫৮ রান করে মরনে মরকেলের বলে আউট হন বালবিরনি। ডিপ মিড-উইকেটে রাইলি রুশোর হাতে ধরা পড়েন তিনি। আর ৪৮ রান করা কেভিন ও’ব্রাইন ৩৬তম ওভারে অ্যাবোটের বলে রুশোর হাতে ধরা পড়েন। এছাড়া সরেনসেন করেন ২২ রান এবং ডকরেল করেন ২৫ রান।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে দ. আফ্রিকা ৪ উইকেট হারিয়ে তুলে ৪১১ রান।

প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শতক তুলে নেন ওপেনার হাশিম আমলা এবং তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ডু-প্লেসিস। এছাড়া রাইলি রুশো করেন অপরাজিত ৬১ রান (৩০ বলে) এবং ডেভিড মিলার করেন অপরাজিত ৪৬ রান (২৩ বলে)।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতক হাঁকান ডু প্লেসিস। ৩৯তম ওভারের চতুর্থ বলে কেভিন ও’ব্রাইনের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন ডু প্লেসিস। আউট হওয়ার আগে তিনি ১০৯ বলে ১০টি চার আর একটি ছয়ে করেন ১০৯ রান।

আমলা এবং ডু প্লেসিস বিশ্বকাপে দ. আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।

প্রোটিয়া ওপেনার হাশিম আমলা ব্যক্তিগত ১০ রানের মাথায় এড জয়েসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েও জীবন পান। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম শতক তুলে নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

তবে, শেষ পর্যন্ত এড জয়েসের হাতেই ধরা পড়েন আমলা। ১২৮ বলে ১৫৯ রান করে বিদায় নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ম্যাকব্রাইনের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ১৬টি চারের পাশাপাশি ৪টি ছক্কাও হাঁকান।

৩০১ রানের মাথায় ডি ভিলিয়ার্স বিদায় নিলে ব্যাটিং ক্রিজে রাইলি রুশো এবং ডেভিড মিলার জুটি বাঁধেন। দ্রুতই রান তোলার চেষ্টা করে যান এ দুই ব্যাটসম্যান। মাত্র ৫১ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন তারা।

৭ মার্চ অকল্যান্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫

** ২০১ রানের বিশাল জয় পেল প্রোটিয়ারা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।