ঢাকা: ফতু্ল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম সর্বসাকুল্যে পেয়েছে একটি মাত্র টেস্টের স্বাদ। তাও ৯ বছর আগে।
যদিও শেষ পর্যন্ত জয়টা সে দিন ধরা দেয়নি বাংলাদেশ শিবিরে। জয়ের খুব কাছে গিয়ে ৩ উইকেটে হার মানে বাংলাদেশ। ৯ বছর আগের রিকি পন্টিংয়ের দাপুটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সই বা কম কি!
ফতুল্লার সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ৩০৭ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। সেদিন অস্ট্রেলিয়াকে আরো বড় টার্গেট দেওয়া যেত। প্রথম ইনিংসে শাহরিয়ার নাফিসের সেঞ্চুরিতে চারশ’র উপরে (৪২৭) স্কোর গড়ার পর মোহাম্মদ রফিকের স্পিন ঘূর্ণিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস আটকে যায় ২৬৯ রানে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৫৮ রানে লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৪৮ রানে গুটিয়ে গেলে ৩০৭ রানের টার্গেট দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে।
টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রান অতিক্রম করা মোটেও সহজ কাজ নয়। ২৩১ রানে অজিদের ছয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে জয়ের মঞ্চও রচনা করেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু অজি দলপতি রিকি পন্টিংকে ম্যাচের পঞ্চম দিন সাজঘরে ফেরোনো যায়নি। তার ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে হার মানতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেট জুটিতে পন্টিং ও ব্রেট লি যোগ করেন ৪৬ রান। ২৭৭ রানে ব্রেট লি (২৯) ফিরলেও গিলেস্পিকে নিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছেন পন্টিং।
২০০৬ সালের এপ্রিলের পর ফতুল্লায় আবার গড়াতে টেস্ট ম্যাচ। ১০ জুন শুরু হবে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ফতু্ল্লার মাঠে টেস্ট খেলা কোনো ক্রিকেটারই নেই বর্তমান বাংলাদেশ দলে। তারপরও ফতু্ল্লায় বাংলাদেশের সেই ম্যাচের নানা পরিসংখ্যান দেখে পরিকল্পনা আঁটতে পারে বাংলাদেশ, হতে পারেন অনুপ্রানিত। এই মাঠেই তো, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের বিপক্ষে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস, রাজিন সালেহ, হাবিবুল বাশার, মোহাম্মদ রফিকরা। তাহলে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা কেন পারবেন না?
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ০৭ জুন ২০১৫
এসকে/এমআর