ঢাকা: বার্মিংহামের এজবাস্টনে রীতিমত রেকর্ডের বন্যা বইয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডকে ২১০ রানের বিশাল ব্যবধানের হারিয়েছে ইংলিশরা।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এটিই ব্ল্যাক ক্যাপসদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। জো রুট ও জস বাটলারের শতকে ভর করে প্রথমবারের মতো দলীয় চারশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে ইংলিশরা। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৪০৮ রান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় একশ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ উইকেটে ৬৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে চাপ সামাল দেন গ্রান্ট এলিয়ট ও রস টেইলর। কিন্তু, এই জুটি ভাঙার পরই খেই হারিয়ে ফেলে কিউইরা। ৩১.১ ওভার শেষে ১৯৮ রানেই সফরকারীদের ইনিংস গুটিয়ে যায়। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন এলিয়ট। কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান।
ইংলিশদের হয়ে স্টিভেন ফিন ও লেগ স্পিনার আদিল রশিদ চারটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় পঞ্চাশ রানের মধ্যেই ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় (০) ও অ্যালেক্স হেলস সাজঘরে ফেরেন। পরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন রুট ও অধিনায়ক মরগান।
ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানে মরগান ফিরলেও অপর প্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে শতক তুলে নেন রুট (১০৪)। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৭৭ রান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন জস বাটলার ও রশিদ। এটি ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।
গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬১ বলে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন বাটলার। আর এ ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ৬৬ বলে শতক হাঁকিয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডটিও নিজের করে নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১১টি চার ও তিন ছক্কার সাহায্যে বাটলার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন।
কিউইদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট চারটি উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও মিচেল ম্যাকক্লেনাগান ও এলিয়ট দু’টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠে বাটলারের হাতে।
উল্লেখ্য, ১২ জুন কেনিংটন ওভালে দু’দলের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
আরএম