ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

২০০ রানের টার্গেটে নেমেছে টাইগাররা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৫
২০০ রানের টার্গেটে নেমেছে টাইগাররা ছবি: শোয়েব মিথুুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে টাইগারদের দরকার ২০০ রান। ৪৭ ওভারে এ রান সংগ্রহ করতে হবে বাংলাদেশকে।

ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার।

অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করা টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। ভারতের কাছে ‘আননোন ফ্যাক্টর’ মুস্তাফিজের পেসে বিধ্বস্ত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। ৪৫ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা সফরকারীরা ২০০ রান সংগ্রহ করে।

সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয় ভিন্ন কোনো পথ নেই ভারতের। আর সিরিজ নিজেদের করে রাখতে জয় চাই টাইগারদের। বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ২০০ রান (ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে)।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। টাইগারদের বোলিং সূচনা করতে আসেন টাইগারদের বোলিং চমক মুস্তাফিজুর রহমান। আর ভারতের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান।

আগের দিন কাউন্টার অ্যাটাকের তত্ত্ব দিয়ে ম্যাচে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। তরুণ তুর্কি মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে দাঁড়ানো সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতেও রোহিত মুস্তাফিজের বলে দিশেহারা হয়ে সাজঘরে ফেরত গিয়েছিলেন।

সফরকারীরা রোহিত শর্মার উইকেটটি হারিয়ে বেশ সতর্ক থেকে ব্যাট করে চলছিল। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ান এবং বিরাট কোহলি দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অবশেষে নাসিরের বলে পরাস্ত হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন কোহলি। নাসিরের বলে এলবির ফাঁদে পড়ার আগে কোহলি করেন ২৩ রান। আউট হওয়ার আগে কোহলি-ধাওয়ান ৭৪ রানের জুটি গড়েন।

নাসিরের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাশের গ্লাভসবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে থাকা শিখর ধাওয়ান (৫৩)। আউট হওয়ার আগে তিনি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতকের দেখা পান। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন আম্বাতি রাইডু। রুবেল হোসেনের বলে নাসিরের ক্যাচে পরিণত হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

দলীয় ৩৬তম ওভারে মাশরাফি আবারো বল তুলে দেন মুস্তাফিজের হাতে। নতুন স্পেলে এসেই টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে মুস্তাফিজের আঘাত। টাইগারদের বোলিং চমকের শিকারে সাজঘরে ফেরেন সুরেশ রায়না। মুস্তাফিজের লাফিয়ে উঠা বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হয়ে ব্যক্তিগত ৩৪ রান করে আউট হন রায়না। আউট হওয়ার আগে ধোনির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ৫৩ রানের একটি জুটি গড়েন রায়না।

গত ম্যাচে ধোনির ধাক্কায় মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে এই মুস্তাফিজই টিম ইন্ডিয়াকে বড় একটি ধাক্কা দিয়ে হারিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগার ভক্তদের মন ভরিয়ে ধোনিকে দারুণ এক স্লোয়ারে কাবু করেন মুস্তাফিজ। একই ওভারে পরের বলেই আকসার প্যাটেলকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ। এরপর নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নিতে

সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার আগে ধোনি করেন ৪৭ রান। আকসার প্যাটেল শূন্য আর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪ রান করে মুস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন।

বৃষ্টির পর নেমেই জাদেজাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজ। আর এর মধ্যে দিয়েই ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ভারতের শেষ উইকেটটি নেন রুবেল হোসেন।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন নেই। প্রথম ওয়ানডের দলটিই রেখে দিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে, ভারতের একাদশ থেকে ছিটকে পড়েছেন আজিঙ্কা রাহানে, উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মা। তাদের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন আম্বাতি রাইডু, আকসার প্যাটেল ও ধাওয়াল কুলকার্নি।

প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারীদের ৭৯ রানে হারিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী লাল-সবুজের বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারতকে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় টাইগাররা।

ওয়ানডেতে ৩০ বারের মোকাবেলায় ভারতকে হারানো গেছে মাত্র চারবার। এর আগেও দ্বি-পক্ষীয় ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ১৫ রানে হারিয়ে সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগায় টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। তবে, বদলে যাওয়া টাইগারদের এবারের প্রসঙ্গটি ভিন্ন।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাশ (উইকেটরক্ষক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন।

ভারত দল: শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আম্বাতি রাইডু, সুরেশ রায়না, মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকসার প্যাটেল, ভূবনেশ্বর কুমার ও ধাওয়াল কুলকার্নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ২১ জুন ২০১৫
এমআর

** মুস্তাফিজের তাণ্ডবে ২০০ তেই গুটিয়ে গেল ভারত
** নেমেই মুস্তাফিজের আঘাত
** ৪৭ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করবে ভারত
** বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ, ধুঁকছে ভারত
** সাত উইকেট হারিয়ে ধু্ঁকছে ভারত
** টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিংয়ে ফের মুস্তাফিজের আঘাত
** উইকেটের অপেক্ষায় টাইগাররা
** ধাওয়ানের পর সাজঘরে রাইডু
** ধাওয়ানের অর্ধশতকে এগুচ্ছে টিম ইন্ডিয়া
** নাসিরের ঘূর্ণিতে সাজঘরে কোহলি
** পাওয়ার প্লে’তে ভারতের ৬৫/১
** টাইগার পেসে সতর্ক বিরাট, ধাওয়ান
** মুস্তাফিজেই কাটা পড়লেন রোহিত
** টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে ভারত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।