ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘এখনকার পরিস্থিতি আগের মতো নয়’

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
‘এখনকার পরিস্থিতি আগের মতো নয়’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মিরপুরে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রাথমিক ক্যাম্প। ২৬ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ক্যাম্প চলেছে ১০ দিন।

হয়েছে কঠোর অনুশীলন। মূল দল নিয়ে হেড কোচ চ্যাম্পিকা গামাগের অধীনে আবারওপুরোদমে অনুশীলন শুরু করবে টাইগ্রেসরা।

দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা সালমা-শুকতারা-পান্নারা রয়েছেন ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়। তবে সহসাই তাদের সে সাধ নাও মিটতে পারে। অপেক্ষা করতে হতে পারে অক্টোবর পর্যন্ত। অক্টোবরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ‍বাংলাদেশে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ‍আগে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটারদের পাকিস্তান সফর করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেখানে যাওয়া হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। অনিশ্চয়তার কারণ, দেশটির নিরাপত্তা ইস্যু। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান কয়েকজন অস্ত্রধারী।

দুই দিন আগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুজা খানজাদা সহ কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) করাচীতে বিরোধীদলীয় এমপি আব্দুল রশিদ গোদিলের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তার গাড়ির চালক নিহত হয়েছেন।

এমতাবস্থায় পাকিস্তানে দল পাঠানো কতটুকু নিরাপদ? এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। তিনি জানান, ‘আমাদের মেয়েদের দলটিকে পাকিস্তানে পাঠানোর কথা ছিল অনেক আগেই। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো অনেক দিন ধরে। এর মধ্যে সেখানে ওয়াসিম আকরামের উপর হামলা হয়েছে। পাঞ্জাবের এক মন্ত্রী বোম‍া আক্রমণে নিহত হয়েছেন। আমরা পাকিস্তানকে নিশ্চয়তা দেইনি। আমাদের নিরাপত্তা দল যাওয়ার পর তাদের প্রতিবেদন যদি অনুকূলে না থাকে তাহলে আমরা দল পাঠাবো না। ওয়াসিম আকরাম ও পাঞ্জাবের মন্ত্রীর ঘটনার কারণে আমরা এখন অন্যভাবে চিন্তা করছি। এখনকার পরিস্থিতি আগের মতো নয়। ’
 
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কিছুদিন আগে পর্যন্ত পাকিস্তানে ভয়ের কিছু ছিলো না। আমাদের মেয়েদের হ্যান্ডবল দল গিয়েছিলো। তারা যেখানে ছিলো, সেখানকার নিরাপত্তা ভিভিআইপি পর্যায়ের ছিল। ক্রিকেট দলের জন্যেও এমনই চাহিদা আমাদের। আমরা যদি সেটা না পাই, কিংবা আমাদের নিরাপত্তা দল যদি ইতিবাচক কিছু না বলে তবে আমরা কিছুতেই পাকিস্তানে দল পাঠাবো না। পাকিস্তানকে আমরা সরাসরি না করে দেইনি। আমাদের নিরাপত্তা দল ওখানে যাক, তারা তাদের প্রতিবেদন দিক, তারপর দেখা যাবে। অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মনে করে, সেখানে দল পাঠানোর পরিস্থিতি নেই। তবে আমরা দল পাঠাবো না। ’
 
জালাল ইউনুস উল্লেখ করেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আপনারা জানেন যে, একদল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের পাকিস্তান যাওয়ার কথা। ওই দলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিসিবির প্রতিনিধি এবং সরকারি নিরাপত্তা এজেন্সির প্রতিনিধি চেয়েছিলাম। ২-৩ জন মিলে একটি দল যাওয়ার কথা। এ বিষয়ে সরকার থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এটা আমরা সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমরা বলেছি তাড়াতাড়ি জানাতে। আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত ‍জানা যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৫
এসকে/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।