সিলেট: সিলেটে শুরু হয়েছে ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট ২০১৫-১৬’। রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাস্ট বোলার হান্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিসিবি’র পরিচালক (অর্থ) ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ছেলেদের জন্য ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও মেয়েদের জন্য ৫ ফুট উচ্চতা এবং বয়স ১৬ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করছেন।
সিলেট ক্যাডেট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী কুলসুমা আক্তারকে দিয়ে প্রতিযোগিতার সূচনা করা হয়। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রতিযোগীরা পর্যায়ক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
এদিকে, প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শীত উপেক্ষা করে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সামনে প্রতিযোগীদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। চারটি বুথের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের রেজিস্ট্রেশন চলছে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম অধিবেশনে ৩ জন প্রতিযোগীকে প্রাথমিকভাবে ‘রবি ফাস্ট হান্টা’র নির্বাচিত করা হয়। এদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মাহমুদুর রহমান নামের এক প্রতিযোগীর হাতে ইয়েস কার্ড তুলে দেন বিসিবির পরিচালক অর্থ শফিউল আলম নাদেল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে রবি’র ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেট কমিউনিকেশন ম্যানেজার মনিমুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৪০ হাজার প্রতিযোগী রেজস্ট্রেশন করেন। এদের মধ্যে কোয়ালিফাই হিসেবে ১০ হাজার ৮শ’ ০৩ জনকে নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশ থেকে ৬০ জন ও সিলেট থেকে ১০ জন প্রতিযোগী বাছাই করা হবে।
তাদেরকে রবি’র তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ দেবে বিসিবি। মূলত বোলিং স্পিড গড় ১২৫ এর ওপর প্রতিযোগীদের বাছাই করা হচ্ছে।
রবি’র মিডিয়া কমিউনিকেশন জেনারেল ম্যানেজার নবনিতা চৌধুরী বলেন, একটি দলের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দিতে পারে ফাস্ট বোলাররা। যে কারণে আমরা চাই তৃণমূল থেকে ফাস্ট বোলাররা উঠে আসুক। টাইগাররা জয়ের ধারায় অব্যাহত থাকুক।
ফাস্ট বোলার হান্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় রবিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিসিবি’র পরিচালক (অর্থ) ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ক্রিকেটের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ এক জায়গায় চলে এসেছে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬টি জায়গা থেকে বেরিয়ে আসা ফাস্ট বোলারদের পরিচর্যা করবে বিসিবি। এখন থেকেই বেরিয়ে আসবে মাশরাফি-মুস্তাফিজরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
এনইউ/জেডএস