ঢাকা: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে যা হয়েছে তা এককথায় ইতিহাস। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বড় বিপর্যয়ের এই ম্যাচে স্বাগতিক ভারত কেঁপে উঠেও জয় তুলে নেয় মাত্র এক রানের ব্যবধান নিয়ে।
ম্যাচ শেষে তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে টাইগারদের ‘খোঁচা’ দিয়ে টুইট করেছেন।
শেষ ওভারে টাইগারদের দরকার ছিল ১১ রান। হারদিক পান্ডের সেই ওভারে প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মাহমুদুল্লাহ। পরের বলেই চার মেরে দেন মুশফিক। তৃতীয় বলেও চার হাঁকান তিনি। জয়ের জন্য শেষ তিন বলে তখন টাইগারদের প্রয়োজন হয় দুই রান। দ্বিতীয় বাউন্ডারি হাঁকানোর পর মাঠে সতীর্থ মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মুশফিক। বেঙ্গালুরুর ৪০ হাজার ভারতীয় সমর্থককে নিশ্চুপ করে দিয়ে একরকম নিশ্চিত জয় ভেবেই মুশফিক এমনটি করেন। আর সেটাই ক্রিকেটের ভাষায় ‘স্বাভাবিক’।
হাল ছেড়ে দেওয়া ধোনি-রায়নাদের মুখগুলোও দেখার মতো অবস্থায় ছিল। তবে, চতুর্থ বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ৬ বলে ১১ রান করা মুশফিক। পঞ্চম বলে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ১৮ রান করে জাদেজার হাতে ধরা পড়েন। শেষ বলে তখনো প্রয়োজন হয় দুই রানের। শুভাগত হোম শেষ বলটিতে লাইন মিস করলে অপর প্রান্ত থেকে রান নিতে দৌড়ে আসেন মুস্তাফিজ। তবে, ধোনির হাতে সরাসরি বল চলে যাওয়ায় রান আউট হতে হয় মুস্তাফিজকে।
শেষ তিন বলে যেখানে দুই রানের প্রয়োজন, সেখানে টাইগারদের তিনটি উইকেটের পতন হয়। একরান করতে পারলেই ম্যাচ টাই হয়ে চলে যেত সুপার ওভারে।
এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচের পুরোটা জুড়েই ছিল টাইগারদের আধিপত্য। তবে, এক রানের আক্ষেপে ভারতের মাটিতে তাদের হারাতে পারেননি মুশফিক-রিয়াদরা। তাতেই সুযোগ বুঝে মুশফিককে ‘খোঁচা’ দিতে ভুল করেননি রায়না। টাইগার ব্যাটসম্যানদের কারও নাম উল্লেখ না করে রায়না টুইট করেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে হাল ছেড়ো না... ম্যাচ জেতার আগে সেলিব্রেট কোরো না। ভারত আর বাংলাদেশ...হোয়াট এ গেম। ’
জাতীয় দলের টেস্ট ও ওয়ানডে দলে বারবার ভারতের নির্বাচকদের দৃষ্টিতে আস্থাহীন রায়না। সাদা পোশাকে ২০১২ সালের ৩১ আগস্ট টিম ইন্ডিয়ার হয়ে মাঠে নামার পর আর একটিই মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পান রায়না। সেটিও ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি। একই বছরের ২৫ অক্টোবর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে সবশেষ ম্যাচে তাকে দেখা গিয়েছিল।
টাইগারদের বিপক্ষে রায়না মোট ৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। সবশেষ সুপার টেনের এই ম্যাচে ৩০ রান করলেও টাইগারদের বিপক্ষে তার মোট রান ৫৩। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩। বিশ্বমঞ্চের এ ম্যাচটি হারলে কোনো সুযোগই থাকতো না রায়নার ‘খোঁচা’ মারার। তাকে মূলত সুযোগ করে দিয়েছেন মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ। যেখানে সিঙ্গেলের উপর নির্ভর করে খেললেই জয়ের বন্দরে পৌঁছাতো বাংলাদেশ, সেখানে উইনিং শটটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পেতে চেয়েছিলেন মুশফিক। পরের বলে একই ভুল করে বিগ হিট করে ম্যাচ উইনিং শট খেলতে চেয়ে আউট হন রিয়াদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ ২০১৬
এমআর