ঢাকা: বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তাসকিন। ফলাফল ইতিবাচক আসবে এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন।
শুধু তাসকিন কেন দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক কেউই এমন ফলাফল মেনে নিতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজার চোখে তো অশ্রুই ঝড়লো! আর তাসকিনের বাবা-মা তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ছেলের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দুশ্চিন্তায়। দেশের একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ছেলের বিপদে অঝরে কেঁদেছেন তারা।
সবার হতাশাকে দূর করবেন তাসকিন, বাবা-মায়ের মুখে ফোঁটাবেন হাসি- শুক্রবার (২৫ মার্চ) কলকাতা থেকে দেশে ফিরে এমন আশাবাদের কথাই শোনালেন এ পেসার।
‘যেটা হয়ে গেছে সেটা হয়েই গেছে। একটাই লক্ষ্য, পরীক্ষাটা আবার দিয়ে ভালোমতো খেলায় ফিরে আসা। সবার দোয়া থাকলে আল্লাহর রহমতে সব ঠিক হয়ে যাবে। বাবা-মা’র সঙ্গে সবসময় কথা হয়েছে। তারা আপসেট হয়ে গেছে। তাদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনবো, ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যদি চায় এমন হতে পারে আমি জীবনে যা হতাম এই বাধাটা আমাকে তার চেয়ে দুই ধাপ উপরেও নিয়ে যেতে পারে। ’
বিমানবন্দরে অপেক্ষাকৃত সাংবাদিকদের জানার কৌতূহল ছিল ল্যাবে পরীক্ষাটা কিভাবে হয়েছিল। তবে স্বাভাবিকভাবে এ ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছেন তাসকিন। কেবল বলেছেন, ওখানে অনেকগুলো ক্যামেরা ছিল নরমালি যে রকম হয়, সবার যেমন হয় তেমনই হয়েছে।
ভারতে থাকাকালে তাসকিনের সবচেয়ে খারাপ লেগেছে বাংলাদেশ দলের হার দেখতে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দলের সবাই যখন মাঠে ভারতের বিপক্ষে ‘যুদ্ধ’ করছেন তাসকিন তখন একাকী হোটেল কক্ষে। ১ রানের পরাজয়ে আর সবার মতো কষ্ট পেয়েছেন তাসকিনও।
‘খুব খারাপ লাগছিল সবাই খেলছিল আমি হোটেলে একা একা খেলা দেখছিলাম। শেষে যখন হারলাম সবার মতো আমিও খুব কষ্ট পেয়েছি। শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশ জিততে পারলে খুব খুশি হবো। ’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল বদলাতে শুরু করেছে সেটি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন দলের সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ। সামনে নাকি আরও ভালো সময় অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের।
‘সবচেয়ে বড় জিনিস হলো ভালো ক্রিকেট খেলছি আমরা, উন্নতি করছি। এটুকু চিন্তা করেই দেখেন টি-টোয়েন্টিতে কেমন ছিলাম, এখন কেমন করছি। সামনে আরও ভালো করবো, জিততে থাকবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
এসকে/এমজেএফ