ঢাকা: ফের টিম ইন্ডিয়ার দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং। নিজের ছেলেকে সঠিকভাবে দলে পারফর্ম করতে সুযোগ দিচ্ছে না ধোনি, পুরো দলকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে-এমন অভিযোগ যোগরাজের।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন যুবরাজ। সে টুর্নামেন্টের ফাইনালে চার নম্বরে খেলতে নেমে ধোনির ছক্কাতেই ভারতের হাতে কাপ উঠেছিল। সেই ঘটনা নিয়েও ধোনির সমালোচনা করতে ছাড়েননি যোগরাজ। তিনি দাবি করেন, সেদিন নিজেকে নায়ক প্রমাণ করতেই, যুবরাজকে সরিয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ধোনি।
চার বছর পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ভারতীয় স্কোয়াডে জায়গা হয়নি যুবরাজের। যোগরাজ অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র ধোনির বিরোধিতার কারণেই জাতীয় দলে জায়গা হয়নি যুবরাজের।
ক্যান্সারকে জয় করে আবারো টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন যুবরাজ। বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুর্দান্ত খেলেই জাতীয় দলে জায়গা করে নেন তিনি। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজে সুযোগ করে নেন। ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও স্কোয়াডে জায়গা পান তিনি। খেলছেন নিজেদের মাটিতে স্বাগতিক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার যোগরাজ জানান, আমি ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার অশোক মানকাদের নেতৃত্বে খেলেছি। তাই আমি জানি কি করে দল পরিচালনায় দক্ষ হতে হয়। আমি জানি বর্তমান দলটিতে কি চলছে। একজন ক্রিকেটার যখন দুই বছর পর জাতীয় দলে আবারো ফিরে আসে, তাকে কিভাবে পরিচালনা করতে হবে ধোনি তা জানেনা। যুবরাজ পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে প্রমাণ দিয়েছে কি করে একজন ক্রিকেটারের কামব্যাক করতে হয়। আমার ছেলের জন্য গর্ব অনুভব করি।
যোগরাজ আরও জানান, প্রায় দু’বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার পর যুবরাজের দাপটের সঙ্গে ফিরে আসাটা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধোনি চাইছে সে পারফর্ম করুক। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে হঠাৎ করেই সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামিয়ে দেওয়ার মানে কী? এর থেকে কী প্রমাণ করতে চাইছে ধোনি?
ধোনির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে যোগরাজ আরও বলেন, একজন ব্যাটসম্যানকে যখন ঘন ঘন তার পজিশন বদল করানো হয়, তখন সেই ব্যাটসম্যানের মনে প্রশ্ন জাগে দলে তার কী আর প্রয়োজন আছে? অধিনায়ককে অবশ্যই এটা মাথায় রাখতে হবে।
ক্ষুব্ধ যোগরাজ যোগ করেন, আমি আমার ছেলেকে বলেছি চিন্তা কোরো না। ভালো কিছুর সময় আসবে। ধোনিকে দু’বছর বসিয়ে রাখুন, দেখব সে কামব্যাকের পর সিঙ্গেল রান করতে পারে কী না!
যদি ধোনি যুবরাজকে পছন্দই না করে তবে দলের নির্বাচকরা এটা বলে দিলেই তো পারেন। যুবরাজের সঙ্গে যদি তার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকে, তাহলে সে সেটা বলছে না কেনো? কিন্তু, ধোনি কি করছে...দলকেই নষ্ট করে দিচ্ছে। যুবরাজকে দিয়ে টার্নিং উইকেটেও বোলিং করাচ্ছে না ধোনি। অথচ ২০১১ সালের বিশ্বকাপে টার্নিং উইকেটে খেলে যুবরাজ ১৫টি উইকেট দখল করেছিল। পুরো বিশ্ব দেখেছিল সেটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ২৭ মার্চ ২০১৬
এমআর