মিরপুর থেকে: সিলেট সুপারস্টারসের হয়ে গত আসর মাতানো মুশফিকুর রহিম ঠিকানা বদলেছেন। প্রথমবারের মতো বরিশাল বুলসের হয়ে খেলবেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও জয় দিয়ে বিপিএলের চতুর্থ আসর শুরু করতে চান মুশফিকুর রহিম। শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুরের একাডেমি মাঠে দলীয় অনুশীলন সেরে মুশফিক জানান, ‘আপনার শক্তিমত্তা অনুযায়ী কিছু রাখতে হবে। সেটার অনুশীলন শুরু করেছি। কাল আমাদের প্রথম ম্যাচ, আমরা ফোকাস রাখছি যেন জয় দিয়ে শুরু করা যায়। সত্যি বলতে কি আমাদের দলটা হয়তো কাগজে-কলমে অত শক্তিশালী না। এমন কোনো সুপার স্টারও নেই। কিন্তু কার্যকরী কিছু খেলোয়াড় আছে যারা কিনা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক ভাইটাল হয়ে উঠতে পারে। ’
দলের বোলিং ডিপাটমেন্ট নিয়ে বেশ আশাবাদী মুশফিকুর রহিম। কেননা আল আমিন হোসেন, আবু হায়দার রনি, কামরুল ইসলাম রাব্বি, থিসারা পেরেরা, রায়াদ এমরিতের মতো পেসার কিংবা পেস বোলিং অলরাউন্ডার রয়েছে দলটিতে। স্পিনার হিসেবে আছেন তাইজুল ইসলাম, দিলশান মুনাবীরা ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
দলের বোলিং আক্রমণ নিয়ে মুশফিক জানান, ‘আল আমিন কিন্তু অন্যতম সফল বোলার জাতীয় দল এবং টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। রনি গত বছর সর্বাধিক উইকেট শিকারি ছিল। রাব্বি অনেক ভালো তরুণ তারকা। স্পিনার আছে, তাইজুল আছে, মনির ভাই আছে, মেহেদী আছে। আমার দল নিয়ে আমি অনেক খুশি। আমাদের যে শক্তি রয়েছে সেটার সুবিচার করতে পারলে ইনশাআল্লাহ ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে। চেষ্টা করবো এ বছর যেন ভালো খেলতে পারি এবং বরিশাল বুলসকে যেন অল দ্য ওয়ে নিয়ে যেতে পারি। ’
‘আমার টিম ওয়েল ব্যাল্যান্সড। আপনি দেখেন তাইজুল, মনির ভাই, মেহেদী বিদেশি দিলশান মুনাবীরা আছে। তিন-চার জন যারা আছে তারা ওয়ার্ল্ড ক্লাস। টি-টয়েন্টি ক্রিকেটকে অনেকে বলে পেস বোলারদের গেম, কিন্তু রেকর্ড ঘেঁটে দেখেন স্পিনারদের কিন্তু ইকোনমি অনেক কম এবং তারাই কিন্তু ভাইটাল হয়ে যায়। আমাদের সংগ্রহ অনেক ভালো। যেটা বললাম নামের সুবিচার করতে পারলে আমাদের পক্ষেই ফলাফল আসবে। ’-যোগ করেন মুশফিক।
ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, শাহরিয়ার নাফীস, শামসুর রহমান ও জশুয়া কবই মূল ভরসা। অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা, রায়াদ এমরতি ব্যাট হাতে রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ০৪ নভেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি