ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশের ওপর চটেছেন রবি শাস্ত্রী

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
বাংলাদেশের ওপর চটেছেন রবি শাস্ত্রী রবি শাস্ত্রী-ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে নিয়ে গঠিন‘বিগ-থ্রি’ নীতি থেকে সরে এসেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এখন থেকে টেস্ট খেলুড়ে সব দেশই সমানসংখ্যক টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে। কেবল তাই নয়, আইসিসি থেকে অর্জিত আয়ের অংশটাও সমানভাবে বণ্টন হবে দেশগুলোর মাঝে। 

তবে আইসিসির ভারত বিরোধী নীতিতে বাংলাদেশ যোগ দেওয়ায় ব্যাপক চটেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী। তার দাবি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অগ্রগতি ভারতের হাত ধরেই!

এর আগে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-ভারতের সমন্বয়ে গঠিত বিগ থ্রি ফর্মুলায় ‘কন্ট্রিবিউশন’ ভিত্তিতে আর্থিক বণ্টন নীতি চলছিল।

এই পদ্ধতিতে আইসিসির আয়ের ২৭ ভাগ জমা পড়ত ভারতের খাতায়। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে ভাগ দেওয়ার পর বাকি দেশগুলো লভ্যাংশের সামান্যই ভাগ পেত। তবে এখন থেকে লাভের অংশটা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সমানভাবে বণ্টন করা হবে। এমনটা হলে ভারত নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির মুখে পড়বে।

এ কারণে সরব হয়েছেন ভারতের নীতিনির্ধারক ও সাবেক ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির এমন প্রস্তাবের বিপক্ষে গেছে কেবল ভারত ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশও বিগ-থ্রির প্রভাব কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে যাওয়ায় দারুণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতের সাবেক ক্রিরেকটার ও ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী।

এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ছাড়া আর কোনো দেশ ভারতের পাশে দাঁড়াল না দেখে আমি বিস্মিত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের কথা না হয় ছেড়ে দিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ কী করে ভারতের বিরুদ্ধে গেল? ওদের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত অগ্রগতিটাই তো ভারতের হাত ধরে। কতবার ওদের অনুরোধে আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে গেছি। একই কাজ করল জিম্বাবুয়েও। এই সেদিনও ভারতীয় দল গিয়ে ওয়ানডে খেলে এলো ওদের দেশে। ’

শ্রাস্ত্রী যুক্তি দেখিয়েছেন, ভারত যেহেতু ক্রিকেটের মোট আয়ের ৮০ ভাগ যোগান দেয় তাই তারা লাভের বড় অংশ চাইতেই পারে। এটা নিয়ে এত সমালোচনার কী আছে তা বোধগম্য হচ্ছে না তার। ভারত আইসিসির ওপর জোর খাটাচ্ছে। বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা ভারতের অধিকার। ’

আইসিসির পুরোণো কাঠামো অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতের লাভ হওয়ার কথা ২৯৭৩.৫ কোটি রুপি। তবে সব দেশ সমানভাবে লাভের অংশ পেলে তা কমে দাঁড়াবে ১৭৩৭.২ কোটি রুপি। রবি শাস্ত্রী মনে করেন, আইসিসির নতুন কাঠামো অনুযায়ী পরিচালিত হলে ক্ষতির মুখে পড়বে ক্রিকেটবিশ্ব।

তিনি বলেন, ‘আইসিসি বলছে, সব দেশ নাকি সমান লভ্যাংশ পাবে। আইসিসির ঘরে ৮০ শতাংশ টাকা ঢুকছে ভারতীয় ক্রিকেটের দয়ায়। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ভারতীয় ক্রিকেট হলো সোনার ডিম পাড়তে থাকা রাজহাঁস। ওই সোনার ডিম দিয়েই কোষাগার ভরছে। আর সেটাকেই কি না তোমরা কাটতে আসছ! আর সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে। কী আবদার! জিম্বাবুয়ে যা টাকা পাবে, আমাকেও তাই নিতে হবে। ওহে আইসিসি, রাজহাঁস কেটে ফেললে তোমাদের সোনার ডিমও যে বন্ধ হয়ে যাবে, সেটা ভেবে দেখেছ? তখন তো ক্রিকেটবিশ্বই আক্রান্ত হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।