ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লাল বলে নিজেদের ঝালিয়ে নিল টাইগাররা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৭
লাল বলে নিজেদের ঝালিয়ে নিল টাইগাররা ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচ টেস্টের আগে দু’দিনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের পরীক্ষা-নিরিক্ষার ম্যাচটিতে কোনো ফল আসেনি। মূল লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটি ড্র হয়।

মোরাতুয়ার ডি জয়সা স্টেডিয়ামে আগের দিনে সাত উইকেট হারিয়ে ৩৯১ রান করা বাংলাদেশ এদিন আর ব্যাটিংয়ে নামেনি। টেস্ট স্কোয়াডে থাকা দিনেশ চান্দিমালের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট একাদশ ৭ উইকেট হারিয়ে ৪০৩ রান তোলে।

টাইগারদের হয়ে সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল (১৩৬, স্বেচ্ছায় অবসর)। আর হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মুমিনুল হক (৭৩, স্বেচ্ছায় অবসর) ও লিটন দাশ (অপরাজিত ৫৭)। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করছে সফরকারীরা। অতিথিদের বোলিংয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন চান্দিমাল।

টাইগারদের হয়ে বোলিংয়ে এদিন শুরু করেন দেশসেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আর প্রথম স্পেলে তার সঙ্গী হন তাসকিন আহমেদ। লাল বলে দীর্ঘদিন পর ফিরে স্বরূপে ধরা দেন মোস্তাফিজ। আসন্ন সিরিজে কাটার মাস্টারকে সম্পূর্ণ ফিট পেতে খেলানো হয়নি ভারত সিরিজে। তবে, লঙ্কা সফরের শুরুতে পুরোনো চেহারাতেই দেখা গেছে মোস্তাফিজকে। আর ক্রমেই অভিজ্ঞ টেস্ট বোলার হিসেবে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তাসকিন। মোস্তাফিজ ব্যাটসম্যানদের বেধে রাখার সুযোগ নিয়ে তাসকিন দুর্দান্ত সব ডেলিভারিতে স্বাগতিকদের উইকেট দিতে বাধ্য করেন। ড্র’র ম্যাচে তাসকিন নেন তিনটি উইকেট আর মোস্তাফিজ নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট দখল করেন সৌম্য সরকার আর মেহেদি হাসান মিরাজ। বোলিং করলেও উইকেট পাননি সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, মুমিনুল, তাইজুল, সুবাশীষরা।

দলীয় চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ওপেনার অভিষেক ফার্নান্দোকে ওভারের দ্বিতীয় বলে সরাসরি বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করান তাসকিন। একই ওভারে নিজের বিধ্বংসী বোলিং বজায় রাখেন ডানহাতি এ বোলার। পঞ্চম বলে আবারও উইকেটের আনন্দ উদযাপন করেন। এবার ইরোশ সামারাসুরিয়াকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করান।

বাংলাদেশের দ্বাদশ ওভারে সফলতা পান মোস্তাফিজ। প্রতিপক্ষের আরেক ওপেনার রন চন্দ্রাগুপ্তাকে নিজের ক্যাচেই পরিণত করান কাটার মাস্টার। ব্যক্তিগত ২০ রানে ফেরেন চন্দ্রাগুপ্তা।  

চতুর্থ উইকেট জুটিতে বেশ সতর্ক ব্যাট করছিল চান্দিমাল ও রোশেন সিলভা। দু’জনে ৮১ রানের জুটিও গড়েন। তবে এ জুটিকে আর বেশি বড় হতে দেননি পেসার তাসকিন। দলীয় ৪০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিলভাকে উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাশের ক্যাচে পরিণত করে প্যাভিলিয়নে যেতে বাধ্য করেন ডানহাতি এ তরুণ। ৩৮ রান আসে সিলভার ব্যাট থেকে। এর ফলে নিজের তৃতীয় উইকেট দখল করেন তাসকিন।

রুমেশ বুদ্দিকা ব্যাটিংয়ে ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই তাকে ছেঁটে ফেলেন সৌম্য সরকার। দলের মূল বোলারদের বিশ্রামের সুযোগে নিয়মিতই বোলিং করে যান তিনি। আর বুদ্দিকাকে ব্যক্তিগত ৩২ রানে সরাসরি বোল্ড করে মাঠ ছাড়া করান। পরে মোস্তাফিজের দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিও ফ্রান্সিসকো। সাজঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটসম্যান করেন ২৭ রান। তাকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান।

হাসারাঙ্গাকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। হাসারাঙ্গা আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে ৩১ বলে দুটি ছক্কা আর তিনটি চারের সাহায্যে করেন ৩২ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলেছেন দলপতি দিনেশ চান্দিমাল। তার ২৫৩ বলের ইনিংসে ছিল ২১টি চার আর ৭টি ছক্কার মার। খেলেছেন ১৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস। শেষ দিকে তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন চামিকা করুনারত্নে। তার ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ৪২ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চারের পাশাপাশি ২টি ছক্কা হাঁকান। এই জুটি ১১২ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ০৩ মার্চ, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।