ভারতের এই দলটিতেই ছিলেন নারীদের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের মালিক ও ৬ হাজারি ক্লাবের একমাত্র সদস্য দলপতি মিতালি রাজ। ছিলেন মেয়েদের ক্রিকেটে ১১৫ বলে ১৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা হারমানপ্রীত।
৩৪ বছর ঝুলন গোস্বামী জানালেন, ‘ফাইনালে হারের পর আমরা কেউ সেই রাতে আর ঘুমাতে পারিনি। কারণ, আমরা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই এই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শুরু করেছিলাম। অথচ ফাইনালে জিততে জিততেই হেরে গেলাম। অথচ শুরুর দিকে কেউই বলেনি এবারের শিরোপাটা ভারত নিয়ে যাবে। আমরা ফাইনালে তিন বিভাগেই ভালো করেছি। ম্যাচের পর খুবই ক্লান্ত ছিলাম। হোটেল রুমে ফেরার আগে ড্রেসিং রুমে অনেকটা সময় কাটিয়েছি। সকলেই মন খারাপ ছিল। সেটা এতটাই বেশি যে আমার মতো কেউই সে রাতে ঘুমাতে পারেনি। ’ফাইনালের কষ্ট ভুলে যেতে চান ১৬৪ ওয়ানডেতে ১৯৫ উইকেট নেওয়া ঝুলন, ‘সত্যি আমি পেছন ফিরে তাকিয়ে ওই ফাইনালের বিশ্লেষণ করতে চাই না। এটা খুব যন্ত্রণাদায়ক। এটা থেকে আমাদের সবার বের হয়ে আসা দরকার। বুঝতে হবে কখনো কখনো পরিকল্পনা কাজে লাগে, কখনো সেটা ভেস্তে যায়। ম্যাচ বিশ্লেষণ করতে থাকলে তো আর ওই হারানো মুহূর্ত ফিরে আসবে না। ’
ঝুলন গোস্বামী ভারতের হয়ে ১০টি টেস্ট ম্যাচও খেলেছেন। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এই পেসার বিশ্বকাপের আসরে খেলেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬টি ম্যাচ। এটাই হয়তো ৩৪ বছর বয়সীর শেষ বিশ্বকাপ। তারপরও সামনের দিকে তাকিয়ে এই ভারতীয় পেসার জানান, ‘আমি এখনও নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করি। দল যতক্ষণ আমাকে প্রয়োজন মনে করবে আমি খেলা চালিয়ে যাব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১৭
এমআরপি