ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শোয়েব আখতারের আঘাতের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন হেইডেন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৭
শোয়েব আখতারের আঘাতের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন হেইডেন ছবি: সংগৃহীত

ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে বহু তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাক্ষী এবং এখনো তা চলছে। পাকিস্তানের সাবেক পেস তারকা শোয়েব আখতার ছিলেন বল হাতে অন্যতম ভয়ঙ্কর ব্যক্তিত্ব। খেলোয়াড়ী জীবনে ম্যাথু হেইডেন ‘বাজেভাবে ‍আঘাত’ করতে চাইতেন তিনি।

সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার হেইডেনের সঙ্গে বিদ্বেষের মাত্রাটা কোন পর্যায়ের ছিল সেটিই প্রকাশ করেছেন শোয়েব। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে একটি ছবি শেয়ার করেছেন।

যেখানে দাবি করা হয়, শোয়েব আখতারের বলের আঘাতে ১৯ ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। যা ক্রিকেট ইতিহাসে যেকোনো বোলারের মধ্যে সর্বোচ্চ।

.তবে ব্যাপারটি যে উপভোগ করতেন তাও কিন্তু নয়। ব্যতিক্রম ছিল কেবল একজনের বেলায়। কে হতে পারে ভক্তদের জন্য সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন টুইটের শেষদিকে। পরে নিজেই এটি জানিয়ে দেন, ‘এটা ছিল ম্যাথু হেইডেন যাকে খেলোয়াড়ী জীবনে আমি বাজেভাবে আঘাত করতে চাইতাম এবং টেস্ট ও প্র্যাকটিস ম্যাচে অনেকবার করেছি। ’

খেলোয়াড়ী জীবন অতীত। পুরনো তিক্ততা ভুলে এখন দু’জন ভালো বন্ধু। সেটি জানাতেও ভোলেননি ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’, ‘এখন আমরা সেরা সঙ্গী এবং আমি মনে করি যাদের সঙ্গে জীবনে সাক্ষাৎ হয়েছে উদারতা ও ভালো মানুষ হিসেবে হেইডেন তার মধ্যে অন্যতম। ’

.কিন্তু, এমন রেষারেষি থাকার কারণটা কী ছিল? দু’জনের দ্বন্দ্বের সূত্রপাতটা হয় ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে যখন হেইডেন পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরে কুইন্সল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন। আখতারকে স্লেজিং করার চেষ্টা করতে গিয়ে শরীরের উপরিভাগ ও হেলমেটে বলের আঘাতের শিকার হতে হয়েছিল তাকে।

এখানেই তাদের মধ্যকার তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেমে থাকেনি। শারজায় ২০০২ সালে হেইডেনের সেঞ্চুরি করার পর এবং ২০০৪-০৫ সময়ে পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়া সফরেও এটি প্রদর্শিত হয়েছিল।

শোয়েব আখতার ও ম্যাথু হেইডেনের মধ্যকার এমনই একটি তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভিডিও তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ২৭ জুলাই, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।