ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফতুল্লার জলাবদ্ধতা; উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৭
ফতুল্লার জলাবদ্ধতা; উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

দেশে সরকার অনুমোদিত মোট ৫৬টি ক্রীড়া স্থাপনা আছে। যার একচ্ছত্র মালিকানা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম তার মধ্যে অন্যতম। স্থানীয় শিল্পপতিদের শিল্প কারখানা থেকে আসা রাসায়নিক মিশ্রিত পানিতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধ হয়ে আছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেট ভেন্যুটি।

অথচ আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ২২ ও ২৩ আগস্ট এখানেই সিরিজের একমাত্র অনুশীলন ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০০৬ সালে গড়িয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট।

২০১৫ সালে ফতুল্লায় সিরিজের একমাত্র টেস্টে ভারতকে মোকাবেলা করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। কিন্তু জলবদ্ধতার থাবায় মাঠের যে শোচনীয় অবস্থা তাতে ভেন্যুটিতে প্রস্তুতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কী না তা নিয়ে ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)আর মাঠের এই স্থায়ী জলাবদ্ধতার দায়ভার অভিভাবক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উপর বর্তালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভূঁইয়া। পরিষদের সদিচ্ছার অভাবেই ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামটি জলাবদ্ধতায় ধুঁকছে বলে তিনি দাবী করেন, ‘জলাবদ্ধতা নিয়ে আমাদের বোর্ডের যে অনুভূতি, সেটা তাদের ভেতরে কখনওই আসে না। ভেতর থেকে যদি না আসে তাহলে তো হবে না। বাংলাদেশ  ক্রিকেটের নিজস্ব তহবিল আছে। চাইলে নিজ দায়িত্বে অনেক কিছুই করতে পারি। কিন্তু চাইলেই আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারিনা। কারণ মালিকানা আমাদের না। ক্রিকেট সম্পর্কিত যতটুকু ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ। ’

শনিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমের সামনে একথা বলেন হানিফ ভূঁইয়া।
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)এদিকে বিষয়টি নিয়ে হানিফ ভূঁইয়ার যুক্তি খন্ডন করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানালেন, ‘আমরা মাঠ তৈরি করি ঠিক আছে। কিন্তু তা দেখভালের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সংগঠনের উপর দায়িত্ব দিয়ে দেই। সেদিক থেকে আমাদের উপর দোষ চাপানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা প্রশাসনিক দিকটি দেখি আর তারা ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি দেখেন। ’

তবে আশার বানী শোনালেন এই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্মকর্তা, ‘স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় মাঠের পানি অপসারণের জন্য ১০টি পাম্প কাজ করছে। ’

কিন্তু শেষে যা বললেন তাতে আবার হতাশ না হয়ে পারা গেল না, ‘যেহেতু মাঠের চারদিকেই পানি সেহেতু জলাবদ্ধতা পুরোটাই নিরসন করা যাচ্ছে না। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।