সেঞ্চুরিতে পৌঁছে দেওয়া বাউন্ডারিটা তখনও দড়ি ছুঁইনি। উৎসব শুরু হয়ে গেছে মুমিনুলের।
তার এমন উল্লাসের পেছনে যে বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান শ্রীলঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে দেখিয়ে দেওয়া, তা ধরতে পেরেছেন মাঠের দর্শক থেকে বাইরের আমজনতা। তা নিয়ে বিস্তর লেখালেখিও হয়ে গেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। তবে মুমিনুলকে প্রথম দিন না পাওয়ায় জানা হয়নি তার মুখ থেকে।
এই হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের কোচ থাকতে বেশ ভুগতে হয়েছে মুমিনুলকে। ওয়েস্টইন্ডিজে গিয়ে তাকে শুনতে হয়েছে শর্ট বলে তিনি দুর্বল। শ্রীলংকায় গিয়ে শুনতে হলো অফস্পিন তিনি খেলতে পারছেন না।
সেই মুমিনুল লাকমল-কুমারার শর্ট বলকে সপাটে ফেলেছেন বাউন্ডারিতে। দিলরুয়ান পেরেরার মতো সমীহ করা অফস্পিনারকে খেলেছেন বেশ সাবলীলভাবেই। হাথুরুসিংহের সেসব কথার তো উত্তর তো দেওয়া হলোই মুমিনুল হকের। তাই তাকে উদ্দেশ্য করেই হয়তো এমন উল্লাস!
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুলের কাছে অবধারিতভাবেই সেই প্রশ্নটা এলো।
কারও নাম ইঙ্গিত না করেই প্রশ্ন করা হলো-আপনার এমন বুনো উল্লাসের রহস্য কী? কিন্তু মুমিনুল হাসতে হাসতে বলে ওঠেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছিল না। আপনারা যেরকম মনে করছেন আসলে এরকম কোনো কারণ ছিল না। ’
এরপর বলেন, ‘অনেকদিন ১০০ করতে পারছিলাম না। ৬০-৭০-৮০ রান করে আউট হচ্ছিলাম। তাই নিজের কাছেও চ্যালেঞ্জ ছিল সেটি ওভারকাম করার। আমি সেটি করতে পেরে সন্তুষ্ট। তাই এমন উল্লাস মূলত। ’
মুমিনুল নামটা মুখে না আনলে হবে নাকি? বাকি পৃথিবী তো ঠিকই বুঝে নিয়েছেন। হয়তো হাথুরুসিংহে নিজেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
টিএইচ/টিসি/এমআরএম