ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আবারও সেই ২ রানের হার, আবারও ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৮
আবারও সেই ২ রানের হার, আবারও ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হার। ছবি: শোয়েব মিথুন

হয়তো প্রতিশোধ বলা যায় না। তবু কিছুটা হলেও ভাবনায় চলেই আসে। গেল মাসে বড়দের এশিয়া কাপের ফাইনালে তিন উইকেটে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হার। সেই ভারতের যুব দলের বিপক্ষে সেই এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ তবে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। এবার অবশ্য নিজেদের মাটিতে। তবে ফলাফল সেই একই। হেরেই মাঠ ছাড়তে হলো লাল-সবুজের জার্সিধারীদের।

সেই ভারতের বিপক্ষেই আবারও দুই রানের হার নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলো বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) যুব এশিয়া কাপের সেমি ফাইনালে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয়ে ১৭২ রানে অল আউট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা।

ফাইনালে উঠতে তৌহিদ হৃদয়দের প্রয়োজন ছিল ১৭৩ রান। কিন্তু শামিম হোসেন-আকবর আলীর চেষ্টা ব্যর্থ হলো।

চেষ্টা করেও হার এড়াতে পারল না বাংলাদেশ।  ছবি: শোয়েব মিথুন

১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানেই ওপেনার সাজ্জাদ হোসেনকে হারায় বাংলাদেশ। মাহমুদ হাসান জয়ের দ্রুত রান তোলার সুবাদে ভালই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় স্কোরে ১৪ রান যোগ হতেই বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট। মাহমুদও ফেরেন ব্যক্তিগত ২৫ রানে।

অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় মাত্র ৮ রানেই ফিরে যান। তবে এক প্রান্তে শামীমের ব্যাট থামেনি। রিশাদ হোসেন ২ রানে ফিরে গেলে শামীমের সঙ্গে যোগ দেন আকবর। দুজন মিলে বেশখানিকটা এগিয়ে নেন দলকে। আকবর ৪৫ রানে ফিরে গেলে আর কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি।

এক প্রান্ত আগলে রেখে ৫৯ রানে ফেরেন শামীম। এক পর্যায়ে ১৬১ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সব শেষ ১৭০ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। আবারও সেই ভারতের বিপক্ষে ২ রানের হার।  

ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মোহিত জাঙরা ও সিদ্ধার্থ দেসাই। ২টি উইকেট নেন হর্স তেয়াগি ও ১টি উইকেট নেন অজয় গঙ্গাপূরম।  

মাহমুদুল হাসান জয়।  ছবি:শোয়েব মিথুন

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। প্রথম আঘাতটি হানেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় মাত্র তিন রানেই ওপেনার দেবদূত পাড়িকালকে (১) ফিরিয়ে দেন শরিফুল।

তবে ইয়াশাভি জইশওয়াল ও অনুজ রাওয়াত ৬৬ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে ভারত। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৫ রানে তৌহিদ হৃদয়ের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অনুজ। এরপর নিয়মিত বিরতীতেই একে একে ফিরে যান ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

পরপর ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। ৭৭ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ভারতকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আইয়ুস বাদনি ও সমীর চৌধুরী। তারা ৫৯ রানের জুটি গড়েন।

মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাংলাদেশের যুবারা।  ছবি: শোয়েব মিথুন

সবশেষ ১৭২ রানেই থেমে যায় ভারতীয় যুবাদের রানের চাকা।  

বাংলাদেশের হয়ে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রিশাদ হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।