শুক্রবারের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলি ৪৯ বলে ৮৪ রানের অন্যবদ্য ইনিংস খেলেন। এই ইনিংস খেলার পথে ৬১ রান করে তিনি সুরেশ রায়নাকে পেছনে ফেলে আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের মালিক হন।
তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েও জয় পাওয়া হয়নি কোহলির নেতৃত্বে ব্যাঙ্গালুরুর। আন্দ্রে রাসেল ঝড়ে ৫ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় শাহরুখ খানের মালিকানার কলকাতা। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচ খেলে সবকটিতেই হারতে হলো ব্যাঙ্গালুরুকে। আর আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৮৬ ম্যাচ হেরে বাজে রেকর্ড গড়লেন কোহলি।
এদিন আইপিএলের ৩৫তম হাফসেঞ্চুরি করা কোহলি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ৮ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। এ তালিকায় তার ওপরে শুধুই চেন্নাই সুপার কিংসের রায়না।
এছাড়া কোহলি ও রায়না ওপরে মাত্র ৫ ব্যাটসম্যান রয়েছেন যারা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮ হাজার বা তার বেশি রান করেছেন। এ তালিকায় ১২ হাজার ৪১৭ রান করা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল সবার ওপরে। তিনি আবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে একমাত্র ব্যাটসম্যান যার দখলে রয়েছে ১০ হাজার রান।
তালিকার পরের অবস্থানে রয়েছেন সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম (৯৯২২)। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলা আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা কাইরন পোলার্ড ৯ হাজার ৬৩ রান করে তৃতীয়স্থানে রয়েছেন। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার পরের দু’জন।
কোহলি আইপিএলে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ হাজার রান করলেও কম ম্যাচ খেলার দিক থেকে তিনি রায়নাকে পেছনে ফেলেছেন। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে ভারতীয় অধিনায়কের লেগেছে ১৬৬ ম্যাচ ও ১৫৮ ইনিংস। আর রায়না ১৭৭ ম্যাচ ও ১৭৩ ইনিংসে ইতিহাসে নাম লেখান।
তবে এতকিছুর পরও কোহলির লজ্জার রেকর্ড থামেনি। নিজের ১৬৮তম আইপিএল খেলতে নামা এই তারকা ৮৬ ম্যাচে হেরে যান। ম্যাচটি যদি কোহলি জিততেন তবে, লজ্জার রেকর্ডটি অবশ্য হয়ে যেত বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যান রবিন উথাপ্পার। তিনি এখন পর্যন্ত ৮৫ ম্যাচে হেরে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন।
এই তালিকায় তৃতীয়স্থানে আছেন কোহলির জাতীয় দলের সহকারী ও মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মার দখলে। ৮১ ম্যাচে হেরেছেন তিনি। আর কলকাতার অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ৭৯ ম্যাচে হেরে চতুর্থস্থানে রয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের লেগস্পিনার অমিত শর্মা ও কোহলির ব্যাঙ্গালুরু সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স তালিকার পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছেন।
তবে মজার ব্যাপার কোহলি ছাড়া এই লজ্জার রেকর্ডে থাকা অন্য ক্রিকেটাররা সবাই অন্তত দুটি দলের হয়ে খেলেছেন। কেবল কোহলি-ই আইপিএলের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দ্বাদশ আসরে এই ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলছেন। এক সময় তরুণ ব্যাটসম্যান হিসেবে সূচনা করে এখন নেতৃত্বও দিচ্ছেন। তবে তার মতো এমন তারকার পাশে এই লজ্জার রেকর্ড বড়ই বেমানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ০৬ এপ্রিল, ২০১৯
এমএমএস