পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপটি এসেছিল ইমরান খানের নেতৃত্বে। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে দিয়েছিল ইমরান খানের দল।
অথচ সেবার তাদের ফেবারিট হিসেবে ভাবেনি কেউই। কিন্তু অসাধারণ নেতৃত্বগুণের ঝলক দেখিয়ে তুলনামূলক দুর্বল দল নিয়েই বিশ্বসেরার মুকুট নিয়ে বীরের বেশে দেশে ফিরে যায় পাকিস্তান দল। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়েই অবসরে চলে যান ইমরান।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর থেকে রাজনীতিতে হাত পাকিয়ে আজ ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তবে ক্রিকেট থেকে একেবারে সরে যাননি তিনি। প্রায়ই ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন। এখন তো নিজ দেশের ক্রিকেটে সরাসরি সিদ্ধান্ত গ্রহণেও ভূমিকা রাখেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইমরান। মূল স্কোয়াডের বাইরে থাকা দুজন তথা মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীসহ সেসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচক ইমজামাম উল হকসহ নির্বাচক কমিটির সদস্য, কোচ মিকি আর্থার ও টিম ম্যানেজমেন্টের বাকি সদস্যরা।
সরফরাজদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতার ঝাঁপি খুলে বসেন ইমরান। এছাড়া তরুণ ক্রিকেটারদের তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দেন।
চলতি মাসের ২৩ এপ্রিল ৫ ম্য্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ডে যাবে পাকিস্তান। সিরিজ শুরু হবে ৫ মে থেকে। এরপর বিশ্বকাপের আগে খেলবে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ। ৩১ মে নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯
এমএইচএম