মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ৭ উইকেট ও ৬১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশের যুবারা।
আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৬ রানেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের (১৭) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এরপর ১০৭ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে সৌম্য বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি।
সৌম্য বিদায় নেওয়ার পর শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আফগান বোলার আবদুল ওয়াসির বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। তার এই ইনিংস ৫ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। এরপর বাকি পথ অবিচ্ছিন্ন থেকে পার করেন ইয়াসির আলী ও আফিফ হোসেন। ইয়াসির ৩৮ রানে আর আফিফ ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে হেরে বাংলাদেশি বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। এর মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই হাসান মাহমুদের শিকার। তবে এরপর ওয়াহেদুল্লাহ শাফাক ও দারুইস রাসুলির ৬৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় আফগান যুবারা। শাফাককে (৩৪) বিদায় করেন তানভির ইসলাম।
তবে এরপর আবার তারিক স্টানিকজাইকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রাসুলি। দুজনের জুটিতে আসে ৮৬ রান। এর মাঝে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন রাসুলি। তার ১২৮ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় সাজানো ১১৪ রানের ইনিংসটি শেষ হয় সৌম্যর বলে। এর আগে ২৭ বলে ৩৪ রান করা তারিককে বিদায় করেন সৌম্য।
বল হাতে ১০ ওভারে ৪৮ রান খরচে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হাসান মাহমুদ। সমান ওভারে ৫৮ রান খরচে ৩ উইকেট গেছে সৌম্যর দখলে। আর ১০ ওভারে ৩৩ রান খরচে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তানভির। এছাড়া ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান খরচ করে আফগানদের স্বল্প রানে থামাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন মেহেদী হাসান।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সৌম্য সরকার।
এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে পাকিস্তানের যুবারা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুরে ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমএইচএম