ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

৩৭-এ পা রাখলেন 'মাইটি হ্যাশ'

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
৩৭-এ পা রাখলেন 'মাইটি হ্যাশ' হাশিম আমলা-ছবি: সংগৃহীত

১২৪ টেস্ট, ১৮১ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মোট ১৮ হাজার ৬৭২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ওয়ানডেতে ২ হাজার, ৩ হাজার, ৪ হাজার, ৫ হাজার, ৬ হাজার এবং ৭০০০ হাজার রানের রেকর্ড। এতসব কীর্তির মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার আজ (৩১ মার্চ) ৩৭তম জন্মদিন।

কিংবদন্তি ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্মদিনে তার ক্যারিয়ারের কিছু অনন্য দিক তুলে ধরা হলো-

- হাশিম আমলা একজন ধার্মিক মুসলিম একথা সবাই জানে। তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ডারবানে এবং ডারবান হাই স্কুলে পড়ালেখা করেছেন।

এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অন্য দুই কিংবদন্তি ল্যান্স ক্লুজনার এবং ব্যারি রিচার্ডস।

- ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত হলেও ক্যারিয়ারে অফ স্পিনার রূপেও দেখা গেছে তাকে। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে একটি উইকেটও আছে তার।

- ২০১২ সালে লন্ডনের ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এখন পর্যন্ত প্রথম ও একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরির ঘটনা।

- আমলা এবং ফাফ ডু প্লেসিস মিলে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডের মালিক। ২০১৫ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তারা দুজনে মিলে ২৪৭ রানের জুটি গড়েন। ওই ম্যাচে ১৫৯ রানের ইনিংস খেলেন আমলা এবং দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা টানা দ্বিতীয় ম্যাচের ৪০০ এর বেশি রান করে। ওই ম্যাচে ৫ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪১১ রানে।

- ২০১৯ সালের আগস্টে অবসরের ঘোষণা দেওয়া আমলার ক্যারিয়ার ১৫ বছর দীর্ঘ হয়েছিল। এই সময়ে ৩৪৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৮ হাজারের বেশি রান করার পাশাপাশি ৫৫টি সেঞ্চুরি ও ৮৮টি ফিফটির মালিক হয়েছেন তিনি।

- ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার রানের রেকর্ড গড়া আমলার দখলে আছে আরও একটি রেকর্ড। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ওয়ানডেতে ১৫ সেঞ্চুরির মালিক হওয়ার পথে ৮৬টি ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ১৬ (৯৪ ইনিংসে), ১৭ (৯৮ ইনিংসে), ১৮ (১০২ ইনিংসে), ২০ (১০৮ ইনিংসে) এবং ২০১৭ সালে ২৫ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি।

হাশিম আমলার ব্যাটিং ছিল সত্যিকারের দৃষ্টিনন্দন। কবজি ঘুরিয়ে দুর্দান্ত টাইমিং আর মাপা শট দেখে প্রতিপক্ষও বিমোহিত হতো। এককথায় তিনি ছিলেন ব্যাটিংশিল্পী। এমনকি ডিফেন্সিভ শটও ছিল দেখা মতো। মাঠে এবং মাঠের বাইরে তার সৌম্যদর্শন মুখ আর শান্ত আচরণ সবাইকেই মুগ্ধ করার মতো। জন্মদিনে এই অসাধারণ ব্যাটিং কিংবদন্তির জন্য প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।